কিম জং উনের চীন সফর, নর্থ কোরিয়ার প্রতিনিধি দল রাশিয়ায়

ছবি: সংগৃহীত
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে চীনে পৌঁছেছেন নর্থ কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। ঐতিহাসিক রীতিনীতির ধারাবাহিকতায় এবারও তিনি বিশেষ ট্রেনে করে চীনে সফর করেন। নর্থ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২ সেপ্টেম্বর ভোরবেলা কিম জং উন একটি বিশেষ ট্রেনে করে চীনের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছেন।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, কিম পয়লা সেপ্টেম্বর পিয়ংইয়াং থেকে যাত্রা শুরু করেন। পরদিন ২ সেপ্টেম্বর ভোরবেলায় তিনি চীনে প্রবেশ করেন। সেদিন সকালেই তিনি চীনের বেইজিংয়ে পৌঁছান।
নর্থ কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ সম্প্রতি একটি ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যায় কিম জং উন ও তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা একটি ট্রেনের ভেতরে অবস্থান করছেন। সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সন হুইকেও দেখা গেছে। অন্য একাধিক ছবিতে কিমকে একটি গাঢ় সবুজ রঙের বিশেষ ট্রেনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এই ট্রেনটিও দেখতে অনেকটা তার চীন ও রাশিয়া সফরের সময়কার ব্যবহৃত বুলেটপ্রুফ ট্রেনের মতোই ছিল।
এদিকে পয়লা সেপ্টেম্বর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর এক শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে নর্থ কোরিয়া। ওই সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট শি একটি ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
নর্থ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই আদর্শ বাস্তবায়নে চীন ও নর্থ কোরিয়ার পারস্পরিক সহযোগিতা আরও গভীর ও মজবুত করা হবে।
এদিকে আবার নর্থ কোরিয়ার জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী পাং তু সপের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রাশিয়ার উদ্দেশে পিয়ংইয়াং ছেড়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ।
পয়লা সেপ্টেম্বর পিয়ংইয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাশিয়ান দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত চার্জ দ্য অ্যাফেয়ারস ভ্লাদিমির তোপেহা এবং নর্থ কোরিয়ার কর্মকর্তারা ওই প্রতিনিধি দলটিকে বিদায় জানান।
কেসিএনএ-এর ভিডিওতে দেখা যায়, পাং তু সপ রুশ দূতাবাস এবং নর্থ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের সাথে হাত মেলাচ্ছেন। পরে বিমানে ওঠার সময় হাত নাড়িয়ে বিদায় জানান। বিমানবন্দরের স্ক্রীনে ভ্লাদিভোস্তকের ফ্লাইটের সময়সূচি প্রদর্শিত হয়। তবে প্রতিনিধি দলের সফরের উদ্দেশ্য বা নির্ধারিত কর্মসূচি সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি কেসিএনএ।
গত ৩ বছরে ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে আরও শক্তিশালী হয়েছে রাশিয়া ও নর্থ কোরিয়ার সম্পর্ক। তবে এখন পর্যন্ত কোনো দেশই ইউক্রেন যুদ্ধে নর্থ কোরিয়ান সৈন্যদের মোতায়েন বা তাদের হতাহতের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি।
বিভি/আইজে
মন্তব্য করুন: