• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসরাইলকে জবাব দিতে আসতে পারে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর সমন্বিত পদক্ষেপ

প্রকাশিত: ১৫:৫২, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৫:৫২, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
ইসরাইলকে জবাব দিতে আসতে পারে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর সমন্বিত পদক্ষেপ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মালিকানাধীন একটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, আরব ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো যদি সমন্বিতভাবে ইসরাইলের জন্য আকাশপথ অবরোধ করে, তবে তার অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাগত প্রভাব কী হতে পারে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আল হাবতুর রিসার্চ সেন্টার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ৯ সেপ্টেম্বর কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরাইলের হামলাই এমন সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুঘটক হতে পারে। 

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নেতাদের লক্ষ্য করে চালানো ওই হামলায় ছয়জন নিহত হন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন কাতারের নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তবে হামাসের কোনো শীর্ষ নেতা নিহত হননি।

আল হাবতুর রিসার্চ সেন্টারের বিশ্লেষণে বলা হয়, ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের জন্য দেশটির বিরুদ্ধে আকাশপথে অবরোধ আরোপ করা হলে তেল আবিবের অর্থনীতির নানা খাতে ভয়াবহ ক্ষতি হবে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এর ফলে ইসরায়েলের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৪ দশমিক ৮ থেকে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এতে দেশটি মন্দার মুখে পড়বে। ওআইসির বড় বড় সদস্য যেমন তুরস্ক, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া যদি এ অবরোধে যোগ দেয়, তবে ইসরাইল এশিয়া ও আফ্রিকার প্রবৃদ্ধিশীল বাজারগুলোর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হারাবে। এতে পূর্ব ও দক্ষিণমুখী ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাবে।

প্রতিবেদন বলছে, বিকল্প রুটে যেতে হলে প্রতিটি ফ্লাইটের সময় চার থেকে ছয় ঘণ্টা বাড়বে। এতে প্রতি ফ্লাইটে ৩০ হাজার থেকে ৬০ হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ বাড়তে পারে। ইসরাইলের বিমান সংস্থা এল-আলের আয়ের ৬০ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। আর এটা ‘রক্ষণশীল অনুমান’।

আকাশপথ অবরোধে ইসরাইলের পর্যটনশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হীরার মতো উচ্চ মূল্যের ও চিকিৎসা সরঞ্জামের মতো সময়-সংবেদনশীল পণ্যের রফতানিও ব্যাহত হবে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক আন্তর্জাতিক চুক্তি বাতিল হতে পারে এবং ইসরাইলভিত্তিক গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম অন্যত্র চলে যেতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনীতির বাইরে এ ধরনের পদক্ষেপ পুরো অঞ্চলের ভূরাজনীতির চিত্র মৌলিকভাবে পাল্টে দেবে। বিশেষ করে উপসাগরীয় দেশগুলো এবং এদের মধ্যে কাতার দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রকে প্রধান নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক অংশীদার হিসেবে দেখে আসছে।

তবে যেদেশে আট হাজারের বেশি মার্কিন সেনা রয়েছেন, সেই দেশেই ইসরায়েলের হামলা ঠেকাতে ওয়াশিংটন ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যর্থতার পর অনেকেই বলছেন, এখন সময় এসেছে কৌশলগত অংশীদারত্বকে বৈচিত্র্যময় করার অর্থাৎ শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর না করে, নিরাপত্তা ও কূটনীতির জন্য অন্য দেশ বা শক্তির সঙ্গেও অংশীদারী গড়ে তোলার।

গবেষণাকেন্দ্রটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আরব ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সমন্বিত আকাশপথ অবরোধে নতুন আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামো তৈরি হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্র একটি কূটনৈতিক সংকটে পড়বে। দেশটিকে ইসরাইলকে বাঁচানো আর আরব দেশগুলোর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারত্ব—এই দুটির একটি বেছে নিতে হবে।

তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই 

বিভি/এসজি

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2