গাজায় হাসপাতালে হামলা, ডাক্তার-নার্স-রোগীসহ অন্তত ৭৭ জন নিহত

ফিলিস্তিনের গাজায় হাসপাতালে ইসরাইলি বাহিনীর বোমা হামলায় একদিনে অন্তত ৭৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গাজা সিটিতে অবস্থিত হাসপাতাল ও আবাসিক ভবনে ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আলজাজিরা ও রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
রবিবার আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক হাসান আল-শায়ির ‘ভয়ংকর দৃশ্য’ বর্ণনা করেন। তিনি জানান, হাসপাতালটিতে অন্তত ১০০ জন্য রোগী ছিলো। তাদের জরুরি চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন ছিলো। তারা ভয়ে চিকিৎসা বাদ দিয়ে পালাতে বাধ্য হয়।
ফিলিস্তিনি মানবাধিকার কেন্দ্রের গবেষকরা নিশ্চিত করেছেন যে, ইসরাইল ফায়ার বেল্ট ব্যবহার করেছে যা থেকে ব্যাপক অগ্নি সংযোগ হয়। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী হাসপাতালের উত্তর ও পূর্ব দিক থেকে সামরিক ইউনিটগুলি অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে হাসপাতালের চারপাশে বিস্ফোরক বোঝাই যানবাহনও মোতায়েন করেছিল।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা শহরের আল হেলু হাসপাতাল নামে আরেকটি চিকিৎসা কেন্দ্রে গোলাবর্ষণ করেছে, যেখানে একটি ক্যান্সার ওয়ার্ড এবং একটি নবজাতক ইউনিট রয়েছে। সেখানে ১২ জন নবজাতক শিশুর চিকিৎসা করা হচ্ছে।
চিকিৎসাকর্মীরা ওয়াফাকে জানিয়েছেন যে, ইসরাইলি ট্যাঙ্কগুলি হাসপাতালের চারপাশে আটকা পড়ে আছে। যার ফলে হাসপাতালে প্রবেশ এবং প্রস্থান উভয়ই বন্ধ হয়ে গেছে। চিকিৎসক, নার্স এবং রোগী সহ ৯০ জনেরও বেশি মানুষ হাসপাতালে আটকা পড়েছে। এছাড়াও, গাজা সিটির আবাসিক ভবনেও হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে, ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গাজা সিটির একাধিক হাসপাতাল ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে শনিবার সকালে ভারী বোমাবর্ষণের পর শহরের অন্যতম প্রধান জর্দান ফিল্ড হাসপাতাল থেকে ১০৭ জন রোগী ও সব কর্মীকে সরিয়ে নিতে বাধ্য করা হয়। দীর্ঘদিনের ধারাবাহিক হামলায় গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: