জিম্মি মুক্তি হলেই গাজার সুড়ঙ্গ ধ্বংসের হুঁশিয়ারি ইসরাইলের

জিম্মিদের মুক্ত করার পর যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি নিয়ে গাজায় হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের অবশিষ্টাংশ ধ্বংস করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ইসরাইল। আজ রোববার ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান। জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া মেনে এই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
কাটজ এক বিবৃতিতে বলেন, জিম্মিদের মুক্তির পর ইসরাইলের বড় চ্যালেঞ্জ হবে গাজায় হামাস-এর সুড়ঙ্গগুলো ধ্বংস করা। আমি সেনাবাহিনীকে এই অভিযান পরিচালনার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছি।
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস গাজায় মাটির নিচে একটি সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছে, যাতে করে তারা ইসরাইলি গোয়েন্দাদের নজরদারির বাইরে কাজ করতে পারে।
সীমান্ত এলাকায় বেড়ার নীচ দিয়ে তারা ইসরাইলে প্রবেশ করতে পারে, এতে আকস্মিক হামলার শঙ্কা তৈরি হয়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার ফলে শুরু হওয়া দুই বছরের বেশি সময়ের যুদ্ধে ইতোমধ্যে অনেকগুলো সুড়ঙ্গ ধ্বংস হয়ে গেছে।
কাটজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার পরবর্তী পর্যায়ে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করার অংশ হিসেবে অবশিষ্ট সুড়ঙ্গ ধ্বংস করা হবে।
হামাস পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে সম্মত হয়েছে, যার ফলে গত শুক্রবার যুদ্ধবিরতি হয়েছে এবং আগামীকাল সোমবার ৪৮ জন জীবিত ও মৃত ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
এর বিনিময়ে ইসরাইল ২৫০ জন ‘জাতীয় নিরাপত্তা বন্দি’ হিসেবে আটক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১ হাজার ৭০০ গাজাবাসীকে ইসরাইল সেনাবাহিনী আটক করে রেখেছে, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বড় ধরনের হামলায় অভিযুক্ত।
তবে হামাস নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান প্রত্যাহার করেছে। আজ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হোসাম বাদরান এএফপিকে বলেন, মার্কিন পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্যায়ে ‘অনেক জটিলতা ও অসুবিধা রয়েছে।’
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: