• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

গাজা ঘোষণাপত্রে সই করলো যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার, তুরস্ক 

প্রকাশিত: ১৯:০৪, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
গাজা ঘোষণাপত্রে সই করলো যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার, তুরস্ক 

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও আঞ্চলিক নেতারা একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) মিশরের শারম আল-শেখ শহরে এ ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরিত হয়। খবর এএফপির।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি অসাধারণ দিন’ হিসেবে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি এবং আঞ্চলিক নেতারা গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার জন্য একটি ঘোষণাপত্রে সই করেছেন। একই সাথে মিশর, কাতার এবং তুরস্কের নেতারা গাজা চুক্তির গ্যারান্টি হিসেবে ঘোষণাপত্রে সই করেন। 

ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে জিম্মি ও বন্দী বিনিময়ের কয়েক ঘন্টা পর ট্রাম্প ইসরাইলে এক ব্যতিক্রমী সফর করেন। সেখানে তিনি পার্লামেন্টে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রশংসা করেন। এরপর তিনি গাজা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মিশরে যান। 

ট্রাম্প বলেছেন, ‘এটি বিশ্বের জন্য একটি অসাধারণ দিন, এটি মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি অসাধারণ দিন।’ দুই ডজনেরও বেশি বিশ্ব নেতা শার্ম আল-শেখের রিসোর্টে আলোচনা করতে বসেছেন।

সই করার আগে ট্রাম্প বলেছেন, ‘এই নথিতে নিয়মকানুন এবং আরো অনেক কিছু স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।’ দু’বার পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন, ‘এটি টিকে থাকবে।’

গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটানোর ট্রাম্পের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, সোমবার হামাস গাজায় দুই বছর বন্দী থাকার পর তাদের হাতে থাকা শেষ ২০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে।

বিনিময়ে ইসরাইল তাদের কারাগারে বন্দী থাকা ১,৯৬৮ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। তাদের কারা বিভাগ একথা জানিয়েছে।

ট্রাম্প ইসরাইলের সংসদে এক ভাষণে আইন প্রণেতাদের বলেছেন, ‘৭ অক্টোবর থেকে এই সপ্তাহ পর্যন্ত ইসরাইল যুদ্ধে লিপ্ত একটি জাতি, এমন বোঝা বহন করছে যা কেবল একজন গর্বিত এবং বিশ্বস্ত জনগণই সহ্য করতে পারে।’ সেখানে তিনি পৌঁছানোর পর আইনপ্রণেতারা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে তাকে করতালি দেন।

তিনি আরো বলেছেন, ‘এই ভূখণ্ড জুড়ে হাজার হাজর পরিবারের জন্য বছরের পর বছর ধরে সত্যিকারের শান্তির একটি দিনও দেখা যায়নি। শুধু ইসরাইলিদের জন্য নয়, ফিলিস্তিনিদের জন্যও এবং আরো অনেকের জন্য, দীর্ঘ এবং বেদনাদায়ক দুঃস্বপ্ন অবশেষে শেষ হয়েছে।’

তেল আবিবে জিম্মি পরিবারগুলোকে স্বাগত জানানোর জন্য জড়ো হওয়া বিশাল জনতা প্রথম মুক্তির খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে আনন্দ, কান্না এবং গানে ফেটে পড়ে, যদিও যারা বেঁচে ছিল না তাদের হারানোর বেদনা স্পষ্ট ছিল।

অধিকৃত পশ্চিম তীর শহর রামাল্লায়, বন্দীদের বহনকারী প্রথম বাসগুলোকে স্বাগত জানাতে বিশাল জনতা জড়ো হয়েছিল। কেউ কেউ ‘আল্লাহু আকবর’ বা ঈশ্বর সর্বশ্রেষ্ঠ, স্লোগান দিয়ে উদযাপন করছিল।

এবং দক্ষিণ গাজা শহর খান ইউনিসে একই রকম একটি সমাবেশে বাসিন্দারা বন্দীদের বহনকারী ধীর গতির রেড ক্রস বাসের পাশে উঠে তাদের প্রিয়জনদের আলিঙ্গন বা চুম্বনের মাধ্যমে বাড়িতে স্বাগত জানায়।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2