• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

১০ লাখ ডলারের ‘গোল্ড কার্ডে’ মিলবে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী নাগরিকত্ব, আসছে নতুন চমক

প্রকাশিত: ১০:৪৯, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১০:৫০, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
১০ লাখ ডলারের ‘গোল্ড কার্ডে’ মিলবে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী নাগরিকত্ব, আসছে নতুন চমক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে ১০ লাখ ডলারের ‘গোল্ড কার্ড’ ভিসা চালু করলো ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। পাশাপাশি শীঘ্রই ৫০ লাখ ডলারের ‘প্ল্যাটিনাম’ কার্ডও নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। এই কর্মসূচির আওতায় বিত্তশালী বিদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাবেন।

বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, এই কার্ড যোগ্য ও পরীক্ষিত ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব পাওয়ার সরাসরি পথ খুলে দেবে। বিষয়টি খুবই আনন্দের! আমাদের আমেরিকান কোম্পানিগুলো অবশেষে তাদের অমূল্য মেধাবীদের ধরে রাখতে পারবে।'

কর্মসূচির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যারা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য 'উল্লেখযোগ্য সুবিধা' নিশ্চিত করতে পারবেন, তাদেরই এই ভিসা দেওয়া হবে। এতে 'রেকর্ড সময়ের' মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমতি মিলবে। ব্যক্তিগতভাবে এই সুবিধা পেতে ১০ লাখ ডলার ফি দিতে হবে। এই অর্থই প্রমাণ করবে যে আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক। অন্যদিকে, কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যদি তাদের কর্মীদের স্পনসর করতে চায়, তবে তাদের গুনতে হবে ২০ লাখ ডলার। এর সঙ্গে বাড়তি কিছু ফি-ও প্রযোজ্য হবে।

ওয়েবসাইটে আরও বলা হয়েছে, শীঘ্রই এই কর্মসূচির 'প্ল্যাটিনাম' সংস্করণ চালু হবে। ৫০ লাখ ডলারের ওই কার্ডধারীরা বিশেষ কর ছাড়ের সুবিধাও পাবেন। তবে আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের আগেই অফেরতযোগ্য ১৫ হাজার ডলার প্রসেসিং ফি হিসেবে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া আবেদনকারীর পরিস্থিতি ভেদে সরকারি আরও কিছু ফি যুক্ত হতে পারে।

গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো এই গোল্ড কার্ড কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা চলছে। ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে কেবল ধনী ব্যক্তিদের অন্যায্য সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

 গোল্ড কার্ড কেবল ‘উচ্চপর্যায়ের’ পেশাজীবীদের জন্য উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, আমরা এমন মানুষ চাই যারা উৎপাদনশীল। যারা ৫০ লাখ ডলার দিতে পারবেন, তারা চাকরিও তৈরি করতে পারবেন। এটা (কার্ড) হুড়মুড় করে বিক্রি হবে। অনেকটা পানির দরে পাওয়ার মতো সস্তা এটি।

গোল্ড কার্ডের মতো কর্মসূচির ঘোষণা এলেও, অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসীদের দেশ ছাড়া করতে ব্যাপক তোড়জোড় চালাচ্ছে। ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের ১৯টি দেশের নাগরিকদের অভিবাসন আবেদন গ্রহণ স্থগিত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2