ভোট নিয়ে নতুন ঘোষণা দিলো পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন
								পাকিস্তানের নির্বাচনের ফাইল ছবি।
পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন মোড় তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে অন্তত ৬ মাস সময় প্রয়োজন। কিন্তু সাংবিধানিভাবে এই সময়সীমা রাখা আছে ৩ মাস বা ৯০ দিন। বিভিন্ন জটিলতার কারণে ৬ মাসের আগে নির্বাচন সম্ভব না বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। খবরটি প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য ডন।
পাকিস্তানের ওই নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, বেশ কিছু আসনের বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে আসন সংখ্যা বাড়ানোয় সেখানে সীমানা চিহ্নিতকরণ একটি বড় সমস্যা। এটি খুবই সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এতো স্বল্প সময়ে এটা সম্ভব হবে না।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার ও প্রবাসী পাকিস্তানিদের ভোটাধিকার সংক্রান্ত আইনি জটিলতাও আছে যা সুরাহা করা প্রয়োজন।
জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা বলেন, আইন অনুযায়ী ভোটারদের কাছে জলছাপযুক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহ করতে হবে। এটি দেশে ছাপানো যায় না। তাই দেশের বাইরে থেকে ছাপিয়ে আনতে হবে। অবশ্য নির্বাচন কমিশন জলছাপের পরিবর্তে নিরাপত্তা চিহ্নযুক্ত ব্যালট পেপার সরবরাহের প্রস্তাব দিয়ে আইন সংশোধনের অনুরোধ জানিয়েছে।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২৯ মে বালুচিস্তানে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর, পাঞ্জাব, সিন্ধু ও ইসলামাবাদে স্থানীয় নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে।
নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, যদি জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতেই হয় তাহলে এসব স্থানীয় নির্বাচনের পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে। এতে করে ঝামেলা আরও দীর্ঘতর হতে পারে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
বিভি/এজেড
						


							
							
 
										
							
							
							
							
							
							
							
							
							
							
											
											
											
											
মন্তব্য করুন: