• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

রাশিয়ার দাগেস্তানে সেনা সমাবেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ১১:০৭, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

আপডেট: ১১:০৮, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
রাশিয়ার দাগেস্তানে সেনা সমাবেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ

রাশিয়ায় সেনা সমাবেশের প্রতিবাদে নতুন করে দেশটির বিভিন্ন অংশে বিক্ষোভ পালন করছেন মানুষ। এর প্রতিবাদে দেশটির মুসলিম অধ্যুষিত দাগেস্তানের রাজধানী মাখাচকালায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। 

রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের সঙ্গে এ সংঘর্ষ হয়। 

ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নতুন করে সেনা সমাবেশের ঘোষণার পর দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন বহু মানুষ। অনেকেই এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ।

এসব সংঘর্ষের বিভিন্ন ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর স্টেনগান ব্যবহার করছে এবং লাঠিচার্জ করছে।

আরেক ভিডিওতে একদল বিক্ষোভকারীর হাত থেকে বাঁচতে এক পুলিশ সদস্যকে দৌড়ে পালাতে দেখা যায়।

জানা যায়, দাগেস্তানে বিক্ষোভের সময় অনেককে গ্রেফতার করে নিরাপত্তা বাহিনী। সেখানে খুবই কঠোর ও বেপরোয়াভাবে বিক্ষোভকারীদের আটক করার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়ার স্বতন্ত্র মানবাধিকার গোষ্ঠী ওভিডি-ইনফো।

সংবাদমাধ্যম জানায়, দাগেস্তান মূলত মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। এর আগেও সেখানে বিদ্রোহ, বিচ্ছিন্নতাবাদ ও জাতিগত সহিংসতার ইতিহাস আছে।

সম্প্রতি রাশিয়াজুড়ে বড় বড় শহরে শুরু হওয়া বিশাল বিক্ষোভ ও ব্যাপক ধরপাকড় অভিযানের মধ্যে দাগেস্তানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের চিত্র কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের বিরল সহিংসতাকেই সামনে নিয়ে এসেছে।

গত ২১ সেপ্টেম্বর রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে আংশিক সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেন। এতে দেশটির অন্তত তিন লাখ রিজার্ভ সেনা ডাকা হচ্ছে।

দাগেস্তানে এক বিক্ষোভকারী বলেন, 'আপনারা আমাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে যাচ্ছেন কেন? কে আক্রান্ত হয়েছে? রাশিয়া আক্রান্ত হয়েছে? তারা আমাদের কাছে আসেনি। আমরাই ইউক্রেনে হামলা করছি। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করেছে। এ যুদ্ধ থামান।'

এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে যেতে অস্বীকার করলে সেনাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। একইভাবে যুদ্ধের ময়দানে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলেও দেওয়া হবে শাস্তি। সেই শাস্তি হবে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড।

এমন নির্দেশনা দিয়ে একটি ডিক্রি জারি করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনে নতুন করে আরও সেনা মোতায়েনের ঘোষণার তিন দিন পর গত ২৪ সেপ্টেম্বর নতুন এ নির্দেশনা দিয়েছেন পুতিন।

এর মধ্যেই নতুন সেনা সমাবেশ বাস্তবায়ন শুরু করেছে রাশিয়া। শুরু হয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়াও। শুরুতেই বাহিনীতে যোগ দেওয়ার ডাক পড়েছে রাজধানী মস্কোর নাগরিকদের। এ জন্য এরই মধ্যে একটি ডিক্রি জারি করেছেন মস্কোর মেয়র। এতে প্রতি সেনাকে মাসিক ৫০ হাজার রুবল বেতন দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

রুশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যাদের সামরিক প্রশিক্ষণ আছে এবং যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা আছে কেবল তাদেরই রিজার্ভ সৈন্য হিসেবে ডাকা হবে।

জানা যায়, দাগেস্তান থেকে এরই মধ্যে হাজার হাজার সেনা ইউক্রেনে লড়াই করতে গেছে বলে ধারণা করা হয়। বিবিসি রাশিয়ান সার্ভিসের সর্বসাম্প্রতিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ইউক্রেনের লড়াইয়ে রাশিয়ার যেকোনো প্রদেশের তুলনায় এই দাগেস্তানেরই সবচেয়ে বেশি সেনা হতাহত হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: