• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

শেষ বিদায়ে কাঁদলেন রজার ফেদেরার (ভিডিও)

প্রকাশিত: ০৮:৫০, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

আপডেট: ০৯:৩২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
শেষ বিদায়ে কাঁদলেন রজার ফেদেরার (ভিডিও)

শেষ হলো টেনিস কিংবদন্তি রজার ফেদেরারের পথচলা। শেষ হলো টেনিসের এক অধ্যায়ের। লেভার কাপ দিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন এই সুইস মায়েস্ত্রো। বিদায় বেলায় নিজে কাঁদলেন, কাঁদালেন পরিবার, প্রতিদ্বন্দ্বী ভক্ত সমর্থকদের।

পরম মমতায় টেনিস র‍্যাকেটটিতে টেপ জড়াচ্ছেন রজার ফেদেরার। চোখেমুখে একরাশ বিষন্নতা। মনের কোণে জমে থাকা বিষন্নতার কালো মেঘ। যেকোনো সময় ঝরবে অশ্রু হয়ে। আশৈশব সঙ্গী র‍্যাকেটের সঙ্গে পথচলার ইতি ঘটছে। মনতো ভারী হবেই। বিষন্ততা-আবেগ তো ভর করবেই।

রজার ফেদেরার সুইজারল্যান্ডের টেনিস কিংবদন্তী। র‍্যাকেট হাতে একজন শিল্পী- লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, পাবলো পিকাসো। টেনিস কোর্ট তার ক্যানভাস, র‍্যাকেট তার তুলি। তার চাবুকের মতো ফোরহ্যান্ড, বিধ্বংসী ব্যাকহ্যান্ড, নিখুঁত এইস, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা সব ভলি, কিংবা প্রতিপক্ষকে বোকা বানানো সব ইমপ্রোভাইসড শট। আড়াই ইঞ্চি ব্যাসের বল নিয়ে এঁকেছেন টেনিসের অনিন্দ সুন্দর সব ছবি।

১৯৯৮ সালে পেশাদার সার্কিটে আবির্ভাব। টেনিসে অনেক গ্রেট এসেছেন, আসবেন। কিন্তু রাজা একজনই, রজার। পুরো দুই যুগ টেনিস অঙ্গনে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন রাজার মতোই। রাজ্য তার টেনিস কোর্টে। রাজা তবে ধ্যানমগ্ন একজন ঋষি। প্রতিপক্ষ কিংবা সতীর্থ সবাই তার গুণমুগ্ধ ভক্ত। ২৪ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ারে ২০টি একক গ্র্যান্ডস্ল্যাম শিরোপা কিংবা ১০৩টি এটিপি শিরোপা তার টেনিস সৌন্দর্যের খুব অল্পই বর্ণনা দেয়। রেকর্ড টানা ২৪৭ সপ্তাহ ছিলেন র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে। পাঁচবার বছর শেষ করেছেন শীর্ষে থেকে। অলিম্পিকের একক শিরোপা জেতা হয়নি- ক্যারিয়ারের একমাত্র অপ্রাপ্তি। তবে চারটি গ্র্যান্ড স্লামেরই শিরোপা হাতে উঠেছে তার। 

 

 

লেভার কাপে ফেয়ারওয়েলে খুনসুঁটিতে মেতেছেন রাফায়েল নাদাল, নোভাক জকোভিচদের সঙ্গে। চিরপ্রতিদ্বদন্দ্বী নাদালের সঙ্গে জুটি গড়ে শেষবার নেমেছেন কোর্টে। 

ক্যারিয়ার জুরে আরেক গ্রেট স্প্যানিশ তারকা রাফায়েল নাদালের সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা। দু'জন মিলে টেনিসকে নিয়ে গেছেন ভিন্ন উচ্চতায়। প্রতিদ্বন্দ্বিতার আমেজের মাঝেই গড়ে উঠেছে বন্ধুত্ব। তাইতো প্রিয় প্রতিপক্ষ, প্রাণের বন্ধুর বিদায়ে অশ্রু সজল নাদাল। রজার কাঁদলেন অঝোরে, কাঁদালেন রাফাকেও। 

বয়সভিত্তিক দল থেকে ফেড এক্সপ্রেসের সঙ্গী মিরকা ভাবরিনেচ। টেনিস কোর্টেই মন দেওয়া-নেওয়া। প্রণয় থেকে পরিণয়, ফেদেরারের সুসময়-দুঃসময়ের চিরসাথী। শেষ বেলাতেও গ্যালারিতে ছিলেন তিনি। ছিলেন সুইস মায়েস্ত্রোর মা-বাবা সন্তানরা। আর কোর্টে যাবেন না ফেদেরার, পরিবারকে দেবেন আরও বেশি সময়। তারপরও তাদের চোখেও জল। রাজা যে ছাড়ছেন তার রাজ্য। স্বেচ্ছায়, চিরচেনা কোর্ট ছেড়ে- পরিজনের সান্নিধ্যে। 

শেষ হলো একটা অধ্যায়- স্বর্ণ খচিত ইতিহাস। ইন্দ্রজালের পর্দায় যতবার চোখ রাখবেন টেনিস প্রেমিরা, ততবার ঐন্দ্রজালিক মোহমায়ায় আবিষ্ট হবেন তারা। রজার ফেদেরার থাকবেন দুই-তিন জেনারেশনের টেনিস মুগ্ধতায়।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: