গ্রুপ সেরা হয়েই এশিয়ান কাপের মূল আসরে নারীরা
তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে টাইগ্রেসরা

ছবি: ইউএনবি
এএফসি নারী এশিয়ান কাপে বাছাই পর্বে টানা তিন ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এতে অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই এশিয়ান কাপের মূল আসরে খেলবে লাল সবুজের নারী দল। মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন স্টেডিয়ামে বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে টাইগ্রেসরা। জোড়া লক্ষভেদ করেছেন গোল মেশিন ঋতুপর্ণা ও সামসুন্নাহার।
সাফল্যের সোনা রোদে বাংলাদেশের নারী ফুটবল। এশিয়ান ফুটবলের বাছাই পর্বে স্বপ্নের সিমানা ছুয়েছে লাল সবুজের নারী দল। তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ৭-০ গোলের উৎসবে, বাছাই পর্বে টানা তিন ম্যাচেই জয়; দূর্দান্ত সাফল্য বয়ে এনেছে ঋতুপর্না, তহুরা, সামশুন্নাহাররা।
অস্ট্রেলিয়ায় ২০২৬ সালের মার্চে হবে নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে। বাহরাইনকে ৭ গোল এবং ঋতুপর্নার জোড়া লক্ষ্যভেদে শক্তিশালী মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে; চূড়ান্ত পর্বের টিকিট, এক ম্যাচ আগেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। তাই শেষ ম্যাচটিকে কেবল আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু শেষ ম্যাচও ফিফা র্যাংকিংয়ে ১৩ ধাপ এগিয়ে থাকা তুর্কেমিনিস্তানের বিপক্ষে ৭ গোলের দাপুটে জয়।
খেলার ৪ মিনিটেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন স্বপ্না রানী। শামসুন্নাহার জুনিয়রের ক্রসে তহুরা খাতুনের কাছে থেকে বক্সে বল পেয়ে দারুন লক্ষভেদ স্বপ্নার।
দুই মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুন করেন রাইট উইঙ্গার শামসুন্নাহার জুনিয়র। ১৩ মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়র নিজের দ্বিতীয় গোল করলে, ৩-০তে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
এরপর গোল উৎসবে মেতে ওঠেন মনিকা চাকমা, ঋতুপর্না ও তহুরা খাতুন। তাতে খেলার ২০ মিনিটেই ৬ গোলে লিড নেয় বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধে লাল সবুজের হয়ে শেষ গোলটি করেন গোল মেশিন ঋতুপর্না। মনিকা চাকমার কাছে থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের যাদুতে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় এবং আসরে পঞ্চম গোলটি করলেন ঋতুপর্না। প্রথমার্ধেই ৭ গোল, তাই দ্বিতীয়ার্ধে নির্ভার বাংলাদেশ দল। তাতে পুরো রক্ষনাত্বক খেলে বাংলাদেশকে আরো গোলের সুযোগ দেয়নি তুর্কেমেনিস্তান।
১৯৯৫ সালে এই মিয়ানমারেই ছেলেদের ফুটবলে প্রথম শিরোপা জয় করেছিলো জার্মান কোচ অটো ফিস্টার ও মোনেম মুন্নার বাংলাদেশ। ৩০ বছর পর সেই মিয়ানমরেই নিজেদের নতুন উচ্চতায় তুলে আনলো বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে ছেলেদের আগেই মাহাদেশীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে খেলার সুযোগ করে নিয়ে; নারী ফুটবলে দেশের নতুন ইতিহাস রচনা করলো ঋতুপর্না-তহুরা-আফিইদারা।
বিভি/এমআর
মন্তব্য করুন: