নতুন দাম্পত্যে যে বিষয়গুলোর প্রতি নজর দিতে হবে
প্রত্যেক দম্পতিই এক সুখী দাম্পত্যের স্বপ্ন দেখেন। আর সেই স্বপ্নপূরণের জন্য তারা প্রতি মুহূর্তে চেষ্টাও করেন। সুখী এবং রোম্যান্টিক দাম্পত্যের জন্য কিছু বিষয়ে নজর রাখা অত্যন্ত জরুরি।
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধই শেষ কথা: সঙ্গীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতেই পারে। আর রাগের মাথায় বিপরীতের মানুষটিকে ছোট বড় কথা বলেও ফেলেন অনেকে। পরে সেই কথার জন্য আফসোস হয়। রেগে গেলে আমাদের চেতনা লোপ পায়। আমরা বিবেচনা করে কোনও কথা বলতে পারি না। তখন ভুলবশত উল্টো-পাল্টা কথা বলা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সেসব কথা সঙ্গীর খারাপ লাগে। তিনি অসম্মানিত হন। আর আপনাদের সুখী দাম্পত্যেও এর প্রভাব পড়ে। তাই রেগে গেলে চুপ করে থাকুন। কিংবা সেই স্থান থেকে সরে যান। পরে মাথা ঠান্ডা হলে সঙ্গীকে নিজের কথাগুলি জানান।
ছোট ছোট উপহার সবাই ভালোবাসেন: সম্পর্কে সুখ অটুট রাখার জন্য আপনি সঙ্গীকে ছোট ছোট উপহার দিতে পারেন। তাঁর খুবই ভালো লাগবে। তিনি বেশ খুশি হবেন। এতে আপনাদের সম্পর্ক ভালো থাকবে। আর সঙ্গী যদি আপনার উপরে সামান্য রেগেও থাকেন, তাহলে তিনি আপনাকে মনে মনে ক্ষমা করে দেবেন। সঙ্গীর ভালো লাগার কথা ভেবে ছোট ছোট উপহার দিন। মনে রাখবেন, উপহার দামি হওয়ার প্রয়োজন নেই, সেটা স্পেশাল হলেই আপনার জয়!
এই কাজটি করুন: প্রত্যেক দম্পতিই রোম্যান্টিক মুহূর্ত উপভোগ করেন। আপনারাও তাঁদের থেকে আলাদা নন নিশ্চয়ই। এবার থেকে রোম্যান্টিক মুহূর্তগুলি আরও বেশি স্পেশাল করুন। আপনার বিপরীতের মানুষটির ভালো লাগার বিষয়গুলি গুরুত্ব দিন। আর আপনাদের ব্যক্তিগত মুহূর্তে রাখুন সেই ছোঁয়াই।
কমিউনিকেশনে জোর দিন: ছোট-বড় অনেক বিষয় নিয়েই আপনার সঙ্গীর সঙ্গে ঝামেলা হতে পারে। আর সেই কথাকে সহজভাবে গ্রহণ করা প্রয়োজন। কিন্তু নানা খারাপ লাগা এবং মতবিভেদ যদি আপনি মনে রেখে দেন, তাহলে তো সম্পর্কে প্রভাব পড়বেই। সঙ্গীকে সব কথা স্পষ্টভাবে না বললে আপনার মন খারাপ হবেই। আর সেই মনখারাপ জমতে জমতে একদিন প্রাচীরের আকার নেবে। তখন আপনারা চাইলেও একে অপরের মনকে স্পর্শ করতে পারবেন না। তাই বিয়ের প্রথম দিন থেকে কমিউনিকেশনে জোর দিন। ভালো লাগা-খারাপ লাগা নিয়ে আলোচনা করুন। ভালো থাকবেন।
সব বিষয়ে কথা বলুন: সবসময়ে যে সংসার নিয়েই আলোচনা করতে হবে, এমন কিন্তু নয়। দম্পতিরা নানা বিষয়ে কথা বলতে পারেন। যেমন আপনাদের দুজনের উপার্জন এবং খরচ নিয়ে কথা হতে পারে, ঠিক তেমনই আড্ডায় উঠে আসতে পারে সিনেমা থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়াও। বিয়ের প্রথম দিন থেকে যদি একে অপরের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেন, দেখবেন দুজনের দুজনকে চিনে নিতে সুবিধা হবে। আর সেটাই সুখী দাম্পত্যের অন্যতম সিক্রেট।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: