রোজা রেখেও কী ভাবে শরীরচর্চা করবেন

রোজা রেখে শরীরচর্চা করতে অনেকেই দ্বিধা করেন। কিন্তু শরীরকে ফিট রাখতে অল্প করে হলেও ব্যায়াম করা দরকার। রোজায় খেয়াল রাখতে হবে, কখন ব্যায়াম করছেন এবং কতটুকু ব্যায়াম করছেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ফিটনেস ঠিক রোজায় হাঁটা, অল্প গতিতে দৌঁড়ানোর মতো ৩০ মিনিট সময় নিয়ে ওয়ার্মআপ, হালকা ব্যায়াম করতে বলে বলেছেন।
# এক্ষেত্রে যদি আপনি রোজার আগে এক ঘণ্টা ব্যায়াম করে থাকেন তাহলে রোজায় আধঘণ্টা ব্যায়াম করবেন। এজন্য অবশ্যই ব্যায়ামের গতি ও সময় কমিয়ে আনবেন। দীর্ঘ সময় ব্যায়াম করলে শরীরে পানিশূন্যতা হতে পারে।
# ইফতার ও রাতের খাবারের মধ্যবর্তী সময় হলো শরীরচর্চার জন্য সবচেয়ে উত্তম সময়। ইফতার গ্রহণের এক থেকে দুই ঘণ্টা পর হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।
# বিকেলের দিকে ব্যায়াম করলে অনেক সময় রক্তে চিনির পরিমাণ কমে গিয়ে দুর্বলতা ও মাথা ঘোরার মতো নানা সমস্যা হতে পারে। রোজা রাখা অবস্থায় ডায়াবেটিসের রোগী কখনোই বিকেলে ব্যায়াম করবেন না।
# ইফতারের ১ ঘণ্টা পরে কার্ডিও সেশন করা যেতে পারে। তবে ইফতারের ঠিক পর পরই ভরা পেটে ব্যায়াম করা ঠিক না।
# ভারী খাবার খেয়ে ব্যায়াম করা যায় না। তাই ভালো হবে যদি হালকা ইফতার গ্রহণ করেন। বেশি তেলে বা ঘিয়ে ভাজা খাবারদাবার না খেয়ে দই, চিড়া, ছোলা, শসার সালাদ, ফলমূল ইত্যাদি খেয়ে তারপর শরীরচর্চা করলে খারাপ লাগবে না।
# রাতের বেলা একটু হাঁটাহাঁটি করলে কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে।
# ভোররাত ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সময়ের মাঝেও হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে। রাতের খাবার থেকে শক্তি যোগাড় করে ব্যায়াম সেরে সেহরি খেতে পারেন। এভাবে হালকা ব্যায়াম করলে দিনজুড়ে সতেজ থাকতে পারবেন বলেই জানান ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা।
# কিংবা সেহরি খাওয়ার পরপরই না ঘুমিয়ে খানিকটা হাঁটাহাঁটি করে নিতে পারেন।
# ব্যথা উপশমে যেসব ব্যায়াম করতে বলা হয়, সেগুলো রোজাদার ব্যক্তিও সারা দিনে দু-তিনবার করতে পারেন। সূত্র: দ্য ন্যাশনাল নিউজ
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: