• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

কুয়েটে রাজনীতি বন্ধ, ভিসির পদত্যাগ দাবিতে অনঢ় শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ১৬:২৫, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১৬:২৬, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ফন্ট সাইজ
কুয়েটে রাজনীতি বন্ধ, ভিসির পদত্যাগ দাবিতে অনঢ় শিক্ষার্থীরা

ফাইল ছবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কুয়েটের ছাত্র আন্দোলনের মুখে চলমান অচলাবস্থা এখনো কাটেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, এক সপ্তাহের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত ও বহিরাগত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলাসহ পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে সিন্ডিকেট সভায়। 

জানা যায়, ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখা সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) কতৃপক্ষ। এছাড়াও, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্পৃক্ততা পেলে শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না বলেও জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কুয়েট সিন্ডিকেটের ৯৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সভায় ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে কমিটিও করা হয়েছে। কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম. এম. এ. হাসেমকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 

সিন্ডিকেটের সভায় বলা হয়, গতকালের (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঘটনায় জড়িত বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আর জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করবে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে। ক্যাম্পাস এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

তবে, শিক্ষার্থীরা এসব সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাসুদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ আছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, ঘটনার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করে বিবৃতি দিতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাস না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

উল্লেখ্য যে, মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শতাধিক আহত হন।

বিভি/পিএইচ

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2