• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

'তিনটা খুন করেছি, দ্রুত না এলে আরও দু'জনকে করবো', পুলিশকে ফোনে জানায় মেহজাবিন!

প্রকাশিত: ১৯:০৫, ১৯ জুন ২০২১

আপডেট: ২১:৩৭, ১৯ জুন ২০২১

ফন্ট সাইজ
'তিনটা খুন করেছি, দ্রুত না এলে আরও দু'জনকে করবো', পুলিশকে ফোনে জানায় মেহজাবিন!

রাজধানীর কদমতলীতে বাবা-মা এবং আপন ছোট বোনকে হত্যার পর ঠাণ্ডা মাথায় পুলিশকে ফোন দেয় মেহজাবিন মুন (২৪)। এসময় পুলিশকে সে জানায়, আমি তিন জনকে খুন করছি, দ্রুত দৌড়ে না এলে আরও দু'জনকে খুন করবো'!

শনিবার (১৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা সংস্থা ৯৯৯-এ কল দিয়ে এই কথা বলে ঘাতক মেহজাবিন। কল পাওয়ার সংগে সংগে ডিএমপি'র কদমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে দেখে- ঘাতক ফোনে যে তথ্য দিয়েছিলো, তাই সত্যি! তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। মৃতদেহের পাশে দু'জন অসুস্থ অবস্থায় পড়ে আছেন। সংগে সংগে মেহজাবিন মুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ দ্রুত অসুস্থ দু'জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তাঁরা সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ডিএমপি'র ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ বাংলাভিশন ডিজিটালকে বলেন, সকালে পুলিশকে ফোন দিয়ে মেহজাবিন জানায়, বাসায় তিনজনকে খুন করেছি, আপনারা দ্রুত না এলে আরও দুজনকে খুন করবো। এটা শুনার পর পুলিশ দ্রুত সে বাড়িতে যায়। গিয়ে দেখে, ঘটনা সত্যি। পরে মেহজাবিনকে আটক করা হয়।

তিনি বলেন, এই ঘটনায় নিহতরা হলেন আটক মেহজাবিনের বাবা মাসুদ রানা (৫০), মা মোসুমী ইসলাম জোৎস্না (৪০) ও আপন ছোট বোন জান্নাতুল ফেরদৌস মোহিনী (২০)। অসুস্থ দু'জন হলেন- মেহজাবিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম অরন্য (৩০) ও তাদের ৪ বছরের মেয়ে তাবাসসুম তৃপ্তি। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরেই মা-বাবা-বোনকে হত্যা, স্বামী-সন্তানকেও মারতে চেয়েছিলো!

তিনি আরও বলেন, বিকালে মৃতদেহগুলোর সুরতাহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কী কারণে মেহজাবিন এমনটি করেছে এবং গ্রেফতারের পর সে হত্যার দায় স্বীকার করেছে কি না জানতে চাইলে ডিসি ইফতেখার আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিনের জমানো ক্ষোভ থেকে এমনটি করেছে সে। বাবা-মায়ের প্রতি ক্ষোভ, বোনের প্রতি ক্ষোভ, স্বামীর প্রতি ক্ষোভ থেকেই সে এমনটি করেছে বলে জানিয়েছে। সে আমাদের কাছে আত্মস্বীকৃত খুনি হিসেবে দায় স্বীকার করেছে। তবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হয়নি এখনও। কারণ তাকে আটকের পর মৃতদেহগুলোর সুরতাহাল নিয়ে ব্যস্ত ছিলো পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পরই জানা যাবে ঠিক কোন ধরণের ক্ষোভ থেকে এমনটি সে করেছে।

বিভি/এসএইচ/এমএস

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2