৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রূপ নেয় বিক্ষোভে

ফাইল ছবি
ঠিক এক বছর আগে আজকের (৭ জুলাই) এই দিনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রূপ নেয় বিক্ষোভে। বাংলা ব্লকেড কর্মসূচিতে অচল হয়ে যায় ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা বর্জন করে ক্লাস-পরীক্ষা। আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঢাকাসহ দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বৈষ্যমের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা আন্দোলনে অংশ নেন অভিভাবকরাও। যা পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ক্ষমতা ছেড়ে এক কাপড়ে পালাতে বাধ্য করে।
২০২৪-এর কোটা সংস্কার আন্দোলন দেশের সব ধরনের সরকারি চাকরিতে প্রচলিত কোটাভিত্তিক নিয়োগ ব্যবস্থার সংস্কারের রূপরেখা। ১৬ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের কাছে দেশের ১৮ কোটি মানুষ জিম্মি হয়ে পড়ে। কেড়ে নেওয়া হয় জনগণের কথা বলার অধিকার। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পতন হয় কর্তৃত্ববাদের। মুক্তি মেলে মানুষের।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুধু চাকরির ক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত কোটা প্রথার বিরুদ্ধে নয়, এটি ছিলো শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে দেশবাসীকে মুক্তির দিশাও। দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে কর্তৃত্ববাদের থাবা দেশের সাংবিধানিক সব প্রতিষ্ঠানকে পঙ্গু করে দেয়। যার বিরুদ্ধে ২৪ সালের ৭ জুলাই পালন হয় বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি।
এ দিন শিক্ষার্থীরা স্বৈরাচার বিরোধী ঐক্যের বার্তা দেয়। বিকাল ৩টায় থেকে বের হয় মিছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ঘুরে নীলক্ষেত, ইডেন কলেজ, পলাশী, বুয়েট, টিএসসি, বকশি বাজার হয়ে মিছিলটি শাহবাগ চত্বরে আসে। মিছিলে অংশ নেয় ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ কলেজের শিক্ষার্থীরা।
৭ জুলাই প্রায় পাঁচ ঘণ্টা রাজধানীর শাহাবাগ থেকে বাংলামটর সড়ক অবরোধ রেখে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হলে ফার্মগেট পযর্ন্ত রাস্তা অবরোধের হুশিয়ারিও দেওয়া হয়। স্লোগানে-স্লোগানে দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।
৭ জুলাই আলাদা কর্মসূচি পালন করে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা অবরোধ করে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়। ঘোষণা আসে দাবি না আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং ছাত্র ধর্মঘট কর্মসূচির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখে শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের খবর প্রচারেও সরকারের বাধার মুখে পড়ে দেশের প্রায় সব গণমাধ্যম। নানা চাপ উপেক্ষা করেও বাংলাভিশনসহ অনেক সংবাদমাধ্যম বস্তুনিষ্টভাবে দায়িত্ব পালন করে। চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে সাময়িকভাবে দুদফা সম্প্রচার বন্ধ করা হয় বাংলাভিশনের।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: