দেশে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে সাংবাদিক নির্যাতন

দেশে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে সাংবাদিক নির্যাতন। গণঅভ্যুত্থানের পর গেলো এক বছরে হয়রানির শিকার প্রায় ৫০০ সাংবাদিক। দায়িত্ব পালনের সময় নিহতের সংখ্যা অন্তত ৪ জন। চাকরিচ্যুত দেড়'শ জনের মতো।
বিশিষ্টজনরা বলছেন, সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে অনেকংশেই ব্যর্থ। দ্রুত এ অবস্থার উন্নতি না হলে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা আরও বাড়বে বলে শঙ্কা তাদের।
ঘটনা গত ৬ আগস্ট বিকালের। গাজীপুর সদর থানার সামনে নৃশংসভাবে এক সাংবাদিককে পেটায় দুর্বৃত্তরা। মোবাইলে ধারণ করা ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ভুক্তভোগী সাংবাদিককে টেনে হিচড়ে নিয়ে যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন। এরপর বুকে ওঠে লাফায়। চালায় নির্মম অত্যাচার।
এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার যেতে না যেতেই গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে আরেক সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে।
টিআইবির তথ্য বলছে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত দেশে হয়রানির শিকার ৪৯৬ জন সাংবাদিক। ২৬৬ জনকে সাংবাদিককে করা হয়েছে ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী হিসেবে হত্যা মামলার আসামি। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন ৪ সাংবাদিক। চাকরিচ্যুত ১৫০ জন সাংবাদিক।
গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর এমন হামলা ও হয়রানিতে উদ্বিগ্ন সবাই। এমন বাস্তবতায় সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে এগিয়ে আসার আহ্বান বিশিষ্টজনদের। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ দেখতে চান মানবাধিকারকর্মীরা।
বিভি/পিএইচ
মন্তব্য করুন: