গুমকে সরাসরি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে আইনে সংযুক্ত করার দাবি

গুম থেমে বেঁচে ফেরা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সোহেল রানা বলেছেন, ‘২০১৫ সালে ঢাকার উত্তরা থেকে তুলে নিয়ে টানা ৬ মাস ৩ দিন গোপনে আটক রাখা হয়। দিন-রাত মশার কামড়, শারীরিক অত্যাচার, ভয়ঙ্কর অনিশ্চয়তা ও মৃত্যুভয়ের মধ্যে প্রতিদিন কেটেছে। সেই ভয়াল অভিজ্ঞতা আজও আমার জীবনকে তাড়া করে বেড়ায়।’
সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
গুম থেকে ফিরে সোহেল রানা এটিকে কেবল নিজের ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি হিসেবে দেখেননি, বরং পুরো জাতির জন্য এক গভীর সংকট হিসেবে দেখেছেন। এই আইনজীবির মতে, গুম কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি জাতির মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে চূর্ণ করার একটি ভয়ঙ্কর সংস্কৃতি।
সেই উপলব্ধি থেকে তিনি গুমকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নেন এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের উপর সর্বপ্রথম তিনি মামলা দায়ের করেন। পাশাপাশি গুমকে সরাসরি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে আইনে সংযুক্ত করার দাবিতে তিনি কাজ করেন।
আইনজীবী সমাজ, মানবাধিকার সংগঠন ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি জাতীয় আলোচনায় রূপ দেন। একই সঙ্গে তিনি একটি স্বাধীন ও কার্যকর ‘গুম কমিশন’ গঠনের দাবিও তোলেন, যাতে প্রতিটি ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য সত্য প্রকাশ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংগঠন ও গণমাধ্যমে তিনি ধারাবাহিকভাবে গুম ইস্যুটি তুলে ধরেছেন।
মন্তব্য করুন: