• NEWS PORTAL

  • বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

প্রতি কিলোওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রায় ২৫ শতাংশ খরচ কমছে

রিশান নাসরুল্লাহ

প্রকাশিত: ১৪:৩০, ১১ অক্টোবর ২০২৫

ফন্ট সাইজ
প্রতি কিলোওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রায় ২৫ শতাংশ খরচ কমছে

উন্মুক্ত দরপত্রে খরচ কমছে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে। গড়ে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ কমছে ২২ থেকে ২৫ শতাংশ। খরচ কমলেও নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যপূরণে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। বলছেন- নীতিমালার অসংগতি, জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধে পরিকল্পনার অভাব এবং বিনিয়োগ অনিশ্চয়তার কারণে হুমকিতে পড়বে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎ উৎপাদন। 

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ক্লিন ফুয়েল ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে তোরজোর বিশ্বজুড়ে। অনেকটা উদ্দেশ্যহীন পরিকল্পনায় সে পথে হাটতে চায় বাংলাদেশও। সরকারের দুই পরিকল্পনায় দু’ধরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি ২০২৫ এর আওতায়- ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০শতাংশ. অন্যদিকে- সমন্বিত বিদ্যুৎ জ্বালানি মহাপরিকল্পনায় ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। 

নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগের আওয়ামী সরকারের করা অনেক কার্যাদেশ এরইমধ্যে বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর উম্মুক্ত পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। নতুন দরপত্রে গড়ে প্রতি ইউনিট সৌরবিদ্যুতের দাম পড়বে ৮ দশমিক দুই সাত সেন্ট। যেটি আগে ছিল ১৩ দশমিক দুই নয় সেন্ট। অর্থাৎ খরচ কমেছে প্রায় সাইত্রিশ শতাংশ।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে ২০৪০ সালের মধ্যে ৪০ অথবা ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে দরকার হবে ৩৫ থেকে ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ। এর মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ খাতে ১৬ দশমিক পাঁচ, বায়ুবিদ্যুতে ১২ দশমিক ছয়, জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে ৬ বিলিয়ন এবং আমদানি ও অন্যান্য খাতে দরকার হবে সাড়ে সাত বিলিয়ন ডলার। 

সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত জাতীয় গ্রিডে নবায়নযোগ্য জ্বালানি যুক্ত হয়েছে মাত্র ৩ দশমিক ছয় শতাংশ। অন্যদিকে, গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক জ্বালানির সক্ষমতা ৪৩ দশমিক চার শতাংশ।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2