উপদেষ্টা পরিষদে পাশ হলো ‘গণভোট অধ্যাদেশ-২০২৫’
গণভোট অধ্যাদেশ-২০২৫ এর খসড়া নীতিমালার অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই আদেশ অনুমোদিত হয়।
এর আগে সকাল ১১টায় গণভোট অধ্যাদেশ ২০২৫ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২০ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা গণভোট আইন অনুমোদন করেন। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনও দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এ সচিবালয়ে নিম্ন আদালতের বিচারকদের সব কিছুর দায়িত্বে থাকবে। ফলে নিম্ন আদালতের বিচারকদের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। সচিবালয় গঠনের পর এটি কার্যকর হবে।
এর আগে, গত ১৩ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকার কাজ করছে বলে জানান। ওই নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেছিলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের মতো গণভোট ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না। নির্বাচন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে। গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উপযুক্ত সময়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে।’
গণভোটের দিন এই চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে আপনি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে আপনার মতামত জানাবেন।
গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই প্রতিনিধিগণ একইসাথে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ হতে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে। সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হবার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। এর মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: