লঞ্চ দুর্ঘটনায় হতাহতদের অনুদান ঘোষণা, এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯’র রুট পারমিট বাতিল
মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় ‘এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯’ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও, সংঘর্ষে নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য অনুদান ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে লঞ্চের রুট পারমিট বাতিলের বিষেয়ে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ এর সহকারী পরিচালক মো. সোলাইমান গণমাধ্যমকে, দুই লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনায় অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। তার ভাষায়, “যে লঞ্চ চালাচ্ছিল, তার কোনো দায় থাকতে পারে। তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে বরিশাল-ভোলা থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী ‘এমভি জাকির সম্রাট-৩’ ও ‘এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯’ নামের দুটি লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ৮ জন নিহত হয়েছেন।
আটকৃত চার লঞ্চকর্মী হলো- ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কয়য়ারচর এলাকার আব্দুল কুদ্দুস মাঝির ছেলে মো. মিন্টু (২৮), একই উপজেলার ভরতকাঠি এলাকার ছামসুল হক হাওলাদারের ছেলে মহিন হাওলাদার (২৫), পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বাহের গজালিয়া এলাকার খলিলুর রহমান গাজীর ছেলে মো. সোহেল (৪০) এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রুপসী এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. মনিরুজ্জামান (৪০)।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, লঞ্চটি ঝালকাঠিতে নোঙর করার পর এর সারেং, সুকানি, সুপারভাইজার ও ইঞ্জিনচালক পালিয়ে যায়। তবে চারজন কেবিন বয়কে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
বিভি/পিএইচ




মন্তব্য করুন: