স্কুলে বিনামূল্যে বই বিতরণ শুরু
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন এক পরিস্থিতিতে নতুন পাঠ্যবই হাতে পেতে শুরু করেছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নেই কোন শোরগোল; নেই উৎসবের আমেজ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
করোনার সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ছুটি ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হলেও বই সংগ্রহের জন্য ফের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়েছে স্কুলগুলো। সরকারের পূর্ব ঘোষিত পরিকল্পনা মেনে ১ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণ শুরু হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নতুন বই নিতে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। সকাল থেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে অভিভাবকেরা এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজে গিয়ে বই বিতরণের কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে বই বিতরণ কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। তবে ভিকারুন নূন নিসা স্কুলে বই বিতরণ শুরু হয়েছে সীমিত পরিসরে। দীর্ঘ দিন ঘরে আবদ্ধ থাকার পর অভিভাবকদের সাথে বই নিতে এসে কিছুটা মনও খারাপ ছিলো অনেক শিক্ষার্থীর। শিক্ষকরা জানিয়েছেন আগামী ১০ দিন চলবে বই বিতরণ।
করোনা মহামারির ভয়াবহতা মাথায় রেখে এবার গতানুগতিক সময়ের মতো একদিনেই সব শিক্ষার্থীদের হাতে বই বিতরণে সমস্যার কথা আগেই জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করলেও ১ জানুয়ারি থেকে ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের হাতে পৌছাবে নতুন বই।
বৃহস্পতিবার বই বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী আয়োজনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ বছরের বই বিতরণ প্রক্রিয়ার স্পষ্ট ধারণা দেন। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার একেকটি শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তিন দিন করে বই দেওয়া হবে। এভাবে মাধ্যমিকে বই বিতরণ চলবে ১২ দিন ধরে। যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কম, সেখানে একদিনেই বই দেওয়া হবে। আর যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী তুলনামূলক বেশি, সেখানে তিন দিন বই দেওয়া হবে।
এবার সারা দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীর হাতে প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি বই বিতরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন: