• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

ইসিতে ‘পাগল’দের আবেদনের হিড়িক!

প্রকাশিত: ১৯:৫২, ২৮ অক্টোবর ২০২১

আপডেট: ০৮:৫৯, ২৯ অক্টোবর ২০২১

ফন্ট সাইজ
ইসিতে ‘পাগল’দের আবেদনের হিড়িক!

নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাগলদের আবেদনের হিড়িক পড়েছে। অবাক হচ্ছেন! অবাক হওয়ারই কথা। প্রশ্ন জাগতেই পারে, পাগলরা হঠাৎ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটিতে আবেদন করবেন কেন? এবার মূল কথায় আসা যাক।

ভোটার হওয়ার সময় অনেক নাগরিক ভুলবশতঃ বা অজ্ঞতাবশতঃ নিবন্ধন ফরম পূরণ করার সময় ‘অপ্রকৃতিস্থতা’ অংশে টিক দিয়ে দিয়েছেন। ফলে তারা নানান ধরনের নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ‘অপ্রকৃতিস্থতা’ বা পাগল থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত আসার জন্য ইসিতে আবেদন করছেন এসব নাগরিকরা। ইসি সূত্রে এইসব তথ্য জানা গেছে। 

সূত্র জানায়, সম্প্রতি করোনা ভ্যাকসিন ও নির্বাচনের কারণে এই ধরনের আবেদন বাড়ছে। ইসি’র মাঠপর্যায়ের কার্যালয় থেকে প্রতিনিয়ত আবেদন আসছে। এসব নাগরিকদের এনআইডি দিয়ে সার্ভারে সার্চ করলে সেখানে ‘ম্যাডনেস’ দেখা যাচ্ছে। 

জানা যায়, সম্প্রতি ইসি জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইসিতে এমন একটি আবেদন পাঠিয়েছেন। সেখানে ভোটার তাঁর আবেদনে লিখেছেন, আমার এনআইডিতে ভুলবশত ‘অপ্রকৃতিস্থতা’ ফরম পূরণ করা হয়েছে। যার কারণে আমি এনআইডি সংক্রান্ত কোনো সেবা পাচ্ছি না। 

একই সমস্যায় পড়ে ইউল্যাবের বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া ঢাকার মোহাম্মদপুর থাকা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেছেন এবং সংশোধন যোগ্য বলে ইসিতে সুপারিশ করেছেন সংশ্লিষ্ট থানা নির্বাচন কর্মকর্তা। 

এই বিষয়ে কথা হলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বাংলাভিশন ডিজিটালকে বলেন, বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে গিয়ে নাগরিকরা এই ভুলটি করছেন। তারা ফরম পূরণ করার সময় সেটি ভালোভাবে দেখছেন না।

এই সমস্যা বেশিদিন থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার কাছে মেডিকেল পড়ুয়া এক ছাত্র এসেছিলেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এটা কিভাবে হলো। তিনি প্রথমে স্বীকার করতে না চাইলেও পরে বলেছেন যে, একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে আবেদন করেছেন। এটি তিনি লক্ষ্য করেননি।

এনআইডিতে ম্যাডনেস-এর বিষয়টি নাগরিকরা এখন কিভাবে জানতে পারছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে এনআইডি’র মাধ্যমে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এনআইডিতে ‘ম্যাডনেস’ থাকার কারণে তাঁরা ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করতে পারছেন না।

তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এনআইডি সেবার সার্ভিস নেয় তারা এনআইডি’র সব তথ্য দেখতে পারে না। তাদেরকে যতোটুকু না হলেই নয় ততোটুকু এক্সেস দেওয়া হয়। কোনো নাগরিক যাতে এই সমস্যার কারণে ভ্যাকসিন বঞ্চিত না হন, সেজন্য ইসি এই অপশন ওপেন করে দেওয়ার কথা চিন্তা করছে। এছাড়া ‘অপ্রকৃতিস্থতা’ অংশটিও ভোটার নিবন্ধন ফরম থেকে বাদ দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা আছে বলে জানান তিনি।
  
এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য ভোটার হওয়ার সময় সাবধানতার সংগে নাগরিকদের নিজে ফরম পূরণ করার অনুরোধ জানান এই কর্মকর্তা। 

সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত পর্যন্ত ‘ম্যাডনেস’ সমস্যার সমাধান চেয়ে মাঠপর্যায় থেকে কয়েক হাজার আবেদন ইসিতে এসেছে। এখন পর্যন্ত কমবেশি পাঁচশ ম্যাডনেস সমস্যার সমাধানও করে দিয়েছে কমিশন। 

বিভি/এইচকে/এসডি

মন্তব্য করুন: