ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমেই হারিছ চৌধুরীর প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবেঃ ডিবি (ভিডিও)
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর পরিচয় সনাক্তের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান এ কেএম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার রেজাল্ট পেলেই জানা যাবে মাহমুদুর রহমান নামে মারা যাওয়া ব্যক্তি হারিছ চৌধুরী কিনা।
বুধবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবির কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এদিকে প্রয়াত পিতার পরিচয় বিতর্কের অবসান ঘটাতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য হারিছ চৌধুরীর লাশ কবর থেকে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এজন্য সোমবার (১৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন লন্ডন প্রবাসী মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা চৌধুরী। একই ধরনের চিঠি দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং সিআইডি প্রধানের কাছেও।
আরও পড়ুন:
- পরকীয়া সম্পর্ক দেখে ফেলায় খুচিয়ে চোখ তুলে শিশুকে হত্যা চেষ্টা মামা-মামীর
- চোখের সামনে ২৯ সহযাত্রীকে মরতে দেখেও বোট ছাড়েননি সামিউল
সূত্র জানায়, ওই চিঠিতে সামিরা চৌধুরী লিখেছেন, তাঁর প্রয়াত পিতা হারিছ চৌধুরীর আসল পরিচয়ের বিষয়টি পরিবারের পাশাপাশি বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, বাংলাদেশের আইন বিভাগ যদি ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রয়াত পিতার পরিচয় নিশ্চিত করতে চায় তাহলে তাঁদের কোনো আপত্তি নেই। প্রয়োজনে কবর থেকে মৃতদেহ তুলেও ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করতে পারে কর্তৃপক্ষ।
চিঠিতে প্রয়াত পিতার দেহাবশেষ তাঁদের দর্পণনগরের গ্রামে নির্দিষ্ট কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করার আবেদনও জানান সামিরা।
২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান হারিছ চৌধুরী। ৪ সেপ্টেম্বর মাহমুদুর রহমান নামধারী হারিছ চৌধুরীকে সাভারের বিরুলিয়ার কমলাপুর খাতামুন্নাবিয়্যান মাদ্রাসার পাশে দাফন করা হয়। দীর্ঘ ১৪ বছর পরিচয় গোপন করে দেশেই ছিলেন হারিছ চৌধুরী। এরমধ্যে ১১ বছর রাজধানীর পান্থপথ একটি বাসায় ভাড়া ছিলেন তিনি।
বিভি/এনএম
মন্তব্য করুন: