• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

বাংলাদেশকে ২১২৫ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত: ১৫:১১, ১ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
বাংলাদেশকে ২১২৫ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

করোনা মহামারী পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতি ও আর্থিক খাতে শক্তিশালী করতে এবং কর্মসংস্থান অটুট রাখতে বাংলাদেশকে দুই হাজার একশ’ পঁচিশ কোটি টাকা ঋন দেবে বিশ্বব্যাংক। ফাস্ট রিকভারি অ্যান্ড রেজিলেন্স ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিটের আওতায় এ ঋণ পাবে বাংলাদেশ। শুক্রবার ( এপ্রিল) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা পরবর্তী প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বিশ্বব্যাংক। জলবায়ু পরিবর্তন, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন, ‍গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানো, সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোসহ কোভিড পরবর্তী প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ২০২০ সাল থেকে জরুরি সহায়তা, টিকাদান এবং অন্যান্য করোনা সংকট পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা সমর্থনের জন্য বাংলাদেশকে তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ দেওয়া হয়েছে। এ ঋণ সবুজায়ন, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করছে। এছাড়া কার্বন হ্রাসের পথ প্রশস্তের জন্য এ সংক্রান্ত নীতি এবং নিয়ন্ত্রক কাঠামো আরও শক্তিশালী করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টাও ত্বরান্বিত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রোগ্রামটি জাতীয় ট্যারিফ নীতির উন্নয়নে সহায়তা করবে, যা বাণিজ্য কর আধুনিকীকরণে সহায়তা করবে। অনাবাসিক ডিজিটাল পরিষেবা সংস্থাগুলোসহ বিদেশি সংস্থাগুলোর সক্ষমতাও বাড়ানো হবে। যেমন- অনুসন্ধান, সোশ্যাল মিডিয়া ও ক্লাউড পরিষেবা সংস্থাগুলোকে আধুনিক করা হবে। ভ্যাট রিটার্ন জমা দেওয়ার কাজও সহজ করা হবে।

এ অর্থায়ন ব্যাংক কাঠামো সংস্কারে ব্যবহার করা হবে। পেমেন্ট ও সেটেলমেন্ট সিস্টেমের উন্নয়ন ও দক্ষতা জোরদারের জন্য নতুন আইন প্রস্তুত করা হবে, যা ডিজিটাল ও মোবাইল আর্থিক পরিষেবাগুলোকেও উৎসাহিত করবে। প্রোগ্রামটি বিভিন্ন পাবলিক সেভিংস সুদের হারের সমন্বয় করবে।

বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, এ কর্মসূচি সরকারকে নগদ স্থানান্তর কর্মসূচি আরও দ্রুত বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করবে। ভবিষ্যতের ধাক্কা মোকাবিলা এবং নগদ-ভিত্তিক প্রোগ্রামের জন্য সরকার-টু-ব্যক্তি পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার সম্প্রসারণ করবে। জরুরি সহায়তার জন্য নতুন ও বিদ্যমান সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়সহ জলবায়ু-সম্পর্কিত সংকটগুলোতে আরও দ্রুত সহায়তা দেওয়ার কাজ সহজ করবে।

এ অর্থায়ন বাংলাদেশকে সবুজ ও টেকসই উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে সহায়তা করবে উল্লেখ করে বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র ইকোনমিস্ট বার্নার্ড হ্যাভেন বলেন, আর্থিক ও আর্থিক খাতের নীতিগুলোর প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে এটি সহায়তা করবে। যখন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির কভারেজ ও দক্ষতা বাড়ে তখন অর্থনৈতিক ধাক্কা এমনিতেই মোকাবিলা করা সম্ভব। এর মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দরিদ্র ও দুর্বলদেরও রক্ষা করা যায় ‘

বিভি/এসআই

মন্তব্য করুন: