• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

জেলা পরিষদ নির্বাচন: ইসি ও ডিসিদের চিঠি দিলো স্থানীয় মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত: ১০:৩২, ২০ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
জেলা পরিষদ নির্বাচন: ইসি ও ডিসিদের চিঠি দিলো স্থানীয় মন্ত্রণালয়

মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের পর্ষদগুলো বিলুপ্ত করেছে সরকার। এসব নির্বাচনের বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সকল জেলা প্রশসাক (ডিসি)কে  চিঠি দেওয়া হয়েছে।

ইসি সচিবকে দেওয়া এই সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, জেলা পরিষদগুলোর সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য সংখ্যা এবং সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য সংখ্যা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে জেলা পরিষদের সকল ওয়ার্ডের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করা হয়েছে

জেলা পরিষদের মেয়াদ ইতিমধ্যে উত্তীর্ণ হওয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রয়োজন। পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয় ওই চিঠিতে।

সব ডিসিকে (৬১ জেলা) দেওয়া এই সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, জেলা পরিষদগুলোর সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য সংখ্যা এবং সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য সংখ্যা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে জেলা পরিষদের সকল ওয়ার্ডের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, জেলা পরিষদ (ওয়ার্ডের সীমা নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী জেলা ডেপুটি কমিশনার সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদেরসীমা নির্ধারণ কর্মকর্তাএবং তার মনোনীত উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার অথবা এডিশনাল ডেপুটি কমিশনার সহকারী সীমা নির্ধারণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপালন করে থাকেন।

এমতাবস্থায়, জেলা পরিষদ (ওয়ার্ডের সীমা নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি , অনুসরণে যথাসম্ভব দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের ওয়ার্ডের সীমা পুনঃনির্ধারণ করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে বিভাগকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয় ওই চিঠিতে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রনালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ তানভীর আজম ছিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এই সংক্রান্ত চিঠি ১৮ এপ্রিল (সোমবার) ইসি ডিসিদের কাছে পাঠানো হয়। 

জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এখনো কোনো চিঠি পাইনি।  চিঠি পেলে আমরা নির্বাচন নির্বাচন করার উদ্যোগ নেবো। 

এরআগে ১৭ এপ্রিল  স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রনালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ তানভীর আজম ছিদ্দিকী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৬১টি জেলা পরিষদের মেয়াদ প্রথম সভার তারিখ থেকে পাঁচ বছর উত্তীর্ণ হওয়ায় পরিষদগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছে। অবস্থায় জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের আগে প্রত্যেক জেলা পরিষদের প্রশাসনিক আর্থিক ক্ষমতা পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অর্পণ করা হল।

সংশোধিত জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী জেলা পরিষদেরসচিবপদের নাম বদলেনির্বাহী কর্মকর্তাকরা হয়েছে।

গত এপ্রিল জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান যুক্ত করেজেলা পরিষদ (সংশোধন) বিল-২০২২সংসদে পাস হয়। এরপর ১৩ এপ্রিল সংশোধিত জেলা পরিষদ আইনের গেজেট প্রকাশ করা হয়।

জানা যায়, ২০০০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নতুন করে জেলা পরিষদ আইন প্রণয়ন করে। এরপর জোট সরকারের আমলে এই নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে জেলা পরিষদ পরিচালনা করে। এরপর ২০১৬ ২৮ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমবারই চেয়ারম্যান পদে ২১ জন বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।

 ইসি কর্মকর্তারা জানান, সেই সময় ৬১টি জেলায় (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) নির্বাচন হয়েছিলো।

জেলা পরিষদ নির্বাচন আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে যতগুলো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর সদস্যরাই জেলা পরিষদ সদস্যদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। অর্থাৎ সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলররা বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য পাঁচজন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করতেন। কিন্তু সংশোধীত আইনে জেলা পরিষদের সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলার সংখ্যার সমান। আর নারী সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলা চেয়ারম্যানদের মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। অর্থাৎ একেক জেলা পরিষদের সদস্যের সংখ্যা হবে একেক রকম, সংশোধনের আগে যেটা ২১ জন নির্দিষ্ট করে দেওয়া ছিল।

আগে জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হলেও পরবর্তী নির্বাচন না হওয়ার পর্যন্ত পূর্বের পরিষদকেই দায়িত্ব পালন করার কথা বলাছিল আইনে। কিন্তু সংশোধনীতে সেটির পরিবর্তে প্রশাসক বসানোর বিধান আনা হয়েছে। সেই ক্ষমতা বলেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রশাসক বসানোর আদেশ জারি করেছে।

বিভি/এইচকে/ এসআই

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2