• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

শেখ হাসিনা আমাদের সাহসের প্রতীক: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৯:০২, ১৬ জুন ২০২২

ফন্ট সাইজ
শেখ হাসিনা আমাদের সাহসের প্রতীক: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সাহসের প্রতীক।

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) ঢাকায় দৈনিক বাংলাস্থ বিএসসি’র আঞ্চলিক কার্যালয় বিএসসি টাওয়ারে ইউক্রেনে মৃত্যুবরণকারী এমভি সমৃদ্ধি জাহাজে থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমানের পরিবার এবং অন্য কর্মকর্তা ও নাবিকদের ৭ মাসের বেতনের সমপরিমাণ ক্ষতিপুরণের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘সাহস থাকলে কি হয়-পদ্মা সেতু এর প্রমাণ; যা ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। আমরা জাহাজ 'এমভি সমৃদ্ধি' হারিয়েছি। আমরা আরও জাহাজ সংগ্রহ করে সমৃদ্ধ হবো। সাহস ও মনোবল হারাবেন না। অফিসার ও নাবিকরা আবার কর্মক্ষেত্রে যোগদান করবেন। বাংলাদেশের  এম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখবেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে বিএসসি (বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন) ভূমিকা রাখবে।’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকেপড়া এম.ভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মৃত্যুবরণকারী জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমানের পরিবার এবং অন্য কর্মকর্তা-নাবিকদের বিএসসির পক্ষ থেকে ক্ষতিপুরণের প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। মো. হাদিসুর রহমানের পরিবারকে ৫,০৫,০০০ (পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার) মার্কিন ডলার এবং অন্য কর্মকর্তা ও নাবিকদের ৭ মাসের বেতনের সমপরিমান ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়। এটি বাংলাদেশ তথা বহির্বিশ্বের মেরিটাইম সেক্টরে নজীরবিহীন।

এছাড়া মো. হাদিসুর রহমানের ভাইকে বিএসসিতে চাকরি দেওয়া হয়েছে।

বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর এসএম মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, জাহাজের বিমাকারী প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান, নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন, টাইজার এন্ড কোম্পানি বিমার বাংলাদেশ প্রতিনিধি এবং বিএসসির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।

উল্লেখ্য, বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজ তুরস্কের ইরেগলী বন্দর হতে কার্গো ডিসচার্জ করে গত ২১ ফেব্রুয়ারি যাত্রা করে। জাহাজটি গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কার্গো লোডিং এর জন্য অলভিয়া বন্দরের ইনার এ্যাংকরেজে প্রবেশ করে। সেখানে থাকা অবস্থায় ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। বন্দরের প্রবেশমুখে মাইন স্থাপন করে রাখা এবং বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় জাহাজ অলভিয়া বন্দরের ইনার এ্যাংকরেজ থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ২ মার্চ ইউক্রেনের স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকাল ৫.১০ মিনিটে জাহাজে ক্ষেপনাস্ত্র আঘাত হানে। এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন।

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পোল্যান্ড এবং রোমানিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসের সহায়তায় এবং বিএসসির সার্বিক প্রচেষ্টায় গত ৯ মার্চ জাহাজে অবস্থানরত ২৮ জন নাবিককে সর্বোচ্চ দ্রুততার সঙ্গে দেশে প্রত্যাবর্তন করানো হয়। ১৪ মার্চে হাদিসুর রহমানের মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হয় এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হাদিসুরকে আমরা ফিরে পাবো না। দুর্ঘটনার পর আমার সঙ্গে টেলিফোনে হাদিসুরের বাবা বলেছিলেন, হাদিসুর আমাদের একমাত্র অবলম্বন। আমরা কোথায় যাবো? এ চেকটি একটা অবলম্বনের পথ খুঁজে দিল। হাদিসুরের ভাইকে বিএসসিতে চাকরির ব‍্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তীতে তার যোগ‍্যতা অনযায়ী নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কোনো সংস্থায় স্থায়ী চাকরির ব‍্যবস্থা করা হবে।’

বিভি/এনএ

মন্তব্য করুন: