• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নৌপথে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও পদ্মা সেতুতে গর্বিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ

মিরাজ হোসেন গাজী

প্রকাশিত: ১২:০৫, ২৩ জুন ২০২২

আপডেট: ১২:০৫, ২৩ জুন ২০২২

ফন্ট সাইজ
নৌপথে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও পদ্মা সেতুতে গর্বিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ

পদ্মা সেতু দেশের সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনলেও, নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে দক্ষিণাঞ্চলের জনপ্রিয় যোগাযোগের মাধ্যম নৌ-পরিবহন খাতে। লঞ্চ মালিকরা বলছেন, এতে করে দক্ষিণাঞ্চলে চলাচল করা প্রায় অর্ধেক লঞ্চের চাহিদা কমে যেতে পারে। তবে কম আয়ের মানুষের কাছে নৌপথে যাতায়াতই পছন্দের শীর্ষে থাকবে বলেও মনে করছেন তারা।

রাজধানীর সাথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে নৌযানের কদর যুগ যুগ ধরে। 

যাত্রী চাহিদার কথা বিবেচনা করে সদরঘাট নদী বন্দরের গুরুত্বও বেড়েছে দিনকে দিন। বর্তমানে এই বন্দর থেকে প্রতিদিন শতাধিক নৌযান ছেড়ে যায় বিভিন্ন গন্তব্যে। সেগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই যাতায়াত করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নানা গন্তব্যে।

এই নৌ পথে যাতায়াত করা লঞ্চের বহরে গেলো কয়েক বছর ধরে যুক্ত হয়েছে বিলাসবহুল বেশকিছু নৌযান। যাত্রীদের আগ্রহ থাকায় লঞ্চগুলোতে বাড়ানো হয়েছে সুযোগ-সুবিধাও। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হলে সেই যাত্রীরা কি থাকবেন নৌপথের অপেক্ষায়?

দক্ষিণাঞ্চলে চলাচলে যাত্রীদের বাহন পছন্দের এই পরিবর্তনে ব্যবসায়িক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন লঞ্চ মালিকরা। তারা মনে করছেন, কম ভাড়ায় ডেকের যাত্রী পাওয়া গেলেও কেবিনের যাত্রীরা সড়ক পথই বেছে নিতে পারেন। আর এমন হলে খরচ উঠানোই কঠিন হবে তাদের।

মালিকরা লঞ্চ চলাচল কমিয়ে দিলে এই খাতের সাথে যুক্ত শ্রমিক কর্মচারিরাও বেকার হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। তবে তিন-চার মাসের মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথের স্বাভবিক চিত্র ফিরে আসবে বলেও ধারণা করছেন কেউ কেউ।

পদ্মাসেতু চালু হলে নৌপথের ওপর প্রভাব পড়লেও দেশের সবচেয়ে বড় এই অবকাঠামোর জন্য গর্বিত সকলেই।

 

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: