• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ইভিএমে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার ১% ক্ষমতার বিষয়ে ইসির যা ব্যাখ্যা 

প্রকাশিত: ১৯:১৮, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

ফন্ট সাইজ
ইভিএমে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার ১% ক্ষমতার বিষয়ে ইসির যা ব্যাখ্যা 

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)  বর্তমানে ১ শতাংশ ভোটারকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ভোট দেওয়ার সুযোগটা করে দিতে পারেন। ৫০০ ভোটার কোনো কেন্দ্রে থাকলে ৫ জন ভোটারকে তিনি সুযোগটা দিতে পারবেন। ৬ নম্বর ভোটার আসলেও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সেটা পারেন না। কারণ প্রিজাইডিং অফিসারের আইনগত এবং টেকনিক্যালি সে সুযোগ থাকে না। 

এই অবস্থায় যদি প্রিজাইডিং পোলিং অফিসার, নির্বাচনি এজেন্ট সবাই একমত হন যে ওই ৬ নম্বর ব্যক্তিটি ভুয়া ভোটার নন, তখন প্রিজাইডিং অফিসার রিটার্নিং অফিসারকে ফোন করেন, তিনি আবার নির্বাচন কমিশনে ফোন করবেন। নির্বাচন কমিশন তখন একটা নতুন পাসওয়ার্ড দেন। সেই পাসওয়ার্ড দিলেই কেবল ওই ৬ নম্বর ব্যক্তিকে সুযোগ করে দিতে পারেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দশ আঙ্গুলের ছাপ নিলে যদি একটা আঙ্গুলও মিলে যায়, তবু ভোটার ভোট দিতে পারবে। এখন চার আঙ্গুলের ছাপ থাকায় অনেকেই মেলে না। তখন প্রিজাইডিং কর্মকর্তার তার আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে সংশ্লিষ্টকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেন। এ নিয়ে নানা সমালোচনা হচ্ছে, যে কারচুপির সুযোগ থেকে যায়। ওভাররাইট করা যায়। তাই দশ আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি হলো যে ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিলে প্রথম কন্ডিশন হলো যার ভোট তিনিই দেবেন। এটা নিশ্চিত করা হয়। ভোটার উপস্থিত না হলে অন্য কারো ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। এটাই হলো ইভিএমের বিশেষত্ব। যন্ত্রই বলে দেয় কেউ ভোটার কি-না, অর্থ্যাৎ ফিঙ্গার প্রিন্ট যখন দেবে ইভিএমে সাথে সাথে নাম ছবি ভেসে ওঠবে। আর ওই কেন্দ্রের না হলে সেটাও বলে দেবে যে আপনি এই কেন্দ্রের ভোটার নন।

তিনি বলেন, ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে দু'টো কাজ এক সঙ্গে হয়। ভোটারের পরিচয় শনাক্তকরণ এবং ব্যালট ইউনিটে ব্যালট ওপেন হয়ে যায়। তখন ভেতরে গেলেই ভোট দিতে পারবেন। কিন্তু কারো আঙ্গুলের ছাপ যদি না মেলে, না মেলার৷ কারণ হলো বয়স বেশি হলে, ভারী কাজ করলে বা হাত না থাকলে। এখন কেউ ভোট দিতে না পারলে সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন হয়। সেজন্য প্রিজাইডিং অফিসার কী করেন, ভোটারের নাম, পরিচয়, এনআইডি নম্বর মিলিয়ে দেখেন। এরপর পরিচয় শনাক্ত হলে এনআইডি নম্বর ব্যালট ইউনিটে দেওয়া হয়। এই তিনটা যদি মিলে যায় তবেই প্রিজাইডিং অফিস ভোটারের পরিবর্তে নিজের আঙ্গুলের ছাপ দেন। তখন ব্যালট ইউনিট সচল হয়। তিনি ভোট দিতে পারেন না। তিনি কেবল সচল করে দেন। সেটার রেকর্ডও আবার ইভিএমের মধ্যে থেকে যায়, যে কাকে এবং কয়জনকে তিনি এই সুযোগটা করে দিয়েছেন।

ভোটারের পরিচয় নিশ্চিতের পর ব্যালট পেপার যেমন দেওয়া হয়, এটাও তাই। মিস ইউজ যাতে কোনোভাবে হতেই না পারে, সে জন্য ১ শতাংশের বেশি আমরা দিই না। ১ শতাংশের ওপরে কোথাও লাগেও না। হঠাৎ কোনোখানে লাগে। এতগুলো নির্বাচন করলাম কেবল বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের একটা নির্বাচনে এমন বাড়াতে হয়েছিল। ১ শতাংশের ওপরে ওঠবে না কখনো। তবে কথাটা আরো স্পটিকরণ করা হবে, যেন ভুল ধারণা দুর হয়। এখন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা কাকে, কয়জনকে সুযোগটা দিলেন সে তথ্য কেবল ইভিএমে থেকে যায়। এখন এটার সঙ্গে সকলের স্বাক্ষরসহ ফিজিক্যাল ডকুমেন্টও রাখার চিন্তা ভাবনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বিভি/এইচকে/এজেড

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2