• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

‘আসছে ঘূর্ণিঝড়, হতে পারে আম্পানের মতো শক্তিশালী’

প্রকাশিত: ১৬:০৯, ১২ অক্টোবর ২০২২

আপডেট: ১৬:৫৮, ১২ অক্টোবর ২০২২

ফন্ট সাইজ
‘আসছে ঘূর্ণিঝড়, হতে পারে আম্পানের মতো শক্তিশালী’

অক্টোবরের শেষ দিকে অথবা নভেম্বরের একেবারে শুরুতে বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে চলতি মাসের শেষের দিকে ফুঁসে উঠবে বঙ্গোপসাগর এর ফলে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আভাস রয়েছে। 

পূর্ব প্রস্তুতি ও সতর্কতা হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা এ বিষয়ে সতর্ক আছি। ঘুর্ণিঝড়টি আম্পানের মতো শক্তিশালী হতে পারে।

বুধবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। তিনি বলেন, সুপার সাইক্লোনের যে পূর্বাভাস রয়েছে, সেটি দেশের উপকূল, বিশেষ করে সুন্দরবন ঘেঁষে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে

প্রতিমন্ত্রী জানান, আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম বার্তাটি দিয়েছে। আমরা বার্তাটি পেয়েছি। তারা বলেছে, ১৭ তারিখে (অক্টোবর) একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হবে। যেটা পরবর্তী সময়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঝড় হবে, সেটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও আমাদের সুন্দরবনের কিছু অংশে আঘাত হানতে পারে। এটি আম্পানের মতো সুপার সাইক্লোনে রূপান্তরিত হতে পারে।

আরও পড়ুন: সন্তানদের বিয়ে নিয়ে যারা চিন্তিত তাদেরকে পরামর্শ দিলেন আসিফ

দেশের আবহাওয়াবিদদের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী জানান, কিন্তু আমাদের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, তারা এটার ওপর নজর রাখছেন। এখন পর্যন্ত সেই ধরনের কোনো সম্ভাবনার কথা তারা আমাদের জানাননি। এটি আরও পর্যবেক্ষেণ করতে হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন। 

তবে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও লঘুচাপ এখনও সৃষ্টি হয়নি। আমরা বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। আমরা সতর্ক আছি। আমাদের আবহাওয়া দফতর জাপান ও ভারতের আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে। সিদ্ধান্ত আসলে, আগাম প্রস্তুতির বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব বলে মন্তব্য করেন মো. এনামুর রহমান

বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হলে নিয়ম অনুসারে এটার নাম হবে সিত্রাং। এটি থাইল্যান্ডের দেয়া নাম।

আরও পড়ুন: ‘সৌদি আরবকে পরিণতি ভোগ করতে হবে’

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, আমাদের মাঠ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে এ বার্তাটি পৌঁছে গেছে, তারা প্রস্তুত আছে। সাধারণত নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর আমরা প্রস্তুতিমূলক কাজ করতে থাকি। ঘূর্ণিঝড় হলে এর মাত্রা বুঝে যখন মহাবিপদ সংকেত হবে ওই সময় মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসব। আশ্রয় কেন্দ্রে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে চাল, শুকনো খাবার, সুপেয় পানি ও নগদ টাকা পৌঁছে দেব।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: