• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

৪-৫ নভেম্বর চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আ.লীগের আন্তর্জাতিক সম্মেলন

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ২১ অক্টোবর ২০২২

ফন্ট সাইজ
৪-৫ নভেম্বর চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আ.লীগের আন্তর্জাতিক সম্মেলন

উদীয়মান ভবিষ্যতের জন্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি। আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’তে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে যাত্রা এবং ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন’।

চতুর্থ শিল্পবিপ্লব (ফোরআইআর) মানুষের দৈনন্দিন জীবনে লক্ষণীয় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ফোরআইআরকে সফলভাবে কাজে লাগিয়ে দ্রুত অগ্রসরমান বাংলাদেশ ডিজিটালাইজেশনের মধ্য দিয়ে টেকসই অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে রোল মডেল হয়ে উঠেছে। এই সম্মেলনে ফোরআইআর প্রযুক্তির ব্যবহারে সরকারের উদ্ভাবনী কর্মসূচি বাস্তবায়নে এবং সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে পেশাদার বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত এবং চিন্তাভাবনা বিনিময় করতে পারবেন যা ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ এবং শতবর্ষী ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও পথ দেখাবে। এছাড়াও, বর্তমান অবস্থান থেকে ভবিষ্যৎ স্বপ্নপূরণের পথ অনুসন্ধানে দেশি-বিদেশি প্রতিভাবানদের দলগত ব্রেইন-স্টর্মিং সেশনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেবে।

প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শিল্প বিপ্লব ধরতে না পারলেও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যেন বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারে বাংলাদেশ, সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের সঠিক দিক নির্দেশনায় এগিয়ে যাচ্ছে নানা উদ্যোগ।

ইতোমধ্যে দেশে ফাইভ-জি চালু করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে দেশে বিভিন্ন স্থানে হাইটেক পার্ক স্থাপন করছে সরকার। উদ্যোক্তাদের সহায়তায় দেশে অনেকগুলো এক্সেলারেটর ও ইনকিউবেটর প্রতিষ্ঠা করেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিভিন্ন টেকনোলজি নিয়ে কাজ করছে সরকার। এসব এডভান্সড টেকনোলজিতে দেশের মেধাবী তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে গবেষকদের উৎসাহ ও প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।

ইতোমধ্যে বুয়েট পোস্ট গ্রাজুয়েশন রিসার্চের জন্য বৃত্তি চালু করেছে। পিএইচডি প্রোগ্রামের গবেষকদের প্রতি মাসে ৪৫ হাজার টাকা করে, মাস্টার্স প্রোগ্রামে ৩০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দিচ্ছে বুয়েট। এছাড়াও টিচিং এসিস্ট্যান্ট ও রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট হিসেবে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রজেক্টে গবেষণার সুযোগ করে দিচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই গবেষণা সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন গবেষণা বান্ধব উদ্যোগে তরুণ উদ্যোক্তা ও গবেষকরা উৎসাহ পাচ্ছেন এবং দেশের জন্য কাজ করতে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।

ফোরআইআর নিয়ে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি দেশ-বিদেশের নীতি নির্ধারক, ইন্ডাস্ট্রি, একাডেমিয়া, ইঞ্জিনিয়ার, সাইন্টিস্ট ও রিসার্চারদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া ও নলেজ শেয়ারিংয়ের দারুণ সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং একটি প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে কার্যকর অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ফোরআইআর নিয়ে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্মার্ট এগ্রো, এডুটেক, ব্লকচেন, আইওটি, রোবটিক্স, মেশিন লার্নিং, ক্লাউড কম্পিউটিং, জেনেটিক্স ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, থ্রিডি প্রিন্টিং, অটোনোমাস ভেহিকল, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, ট্রান্সপোর্ট ও এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে ইতোমধ্যে ৫৭৮ টি পেপার ও পোস্টার জমা পড়েছে।

শুধু বাংলাদেশের গবেষকরা নন, ইউরোপ, আমেরিকা, ইন্ডিয়া, জাপান, চীন, অস্ট্রেলিয়া থেকেও গবেষকরা শতাধিক পেপার সাবমিট করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন সিলকন ভ্যালির বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ, অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটি, কানাডার ম্যাকমাস্টার ও ক্যালগারি ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ এর টেক্সাস আর্লিংটন ইউনিভার্সিটি, বোস্টন ইউনিভার্সিটি, জাপানের কিউটো বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিন কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের গবেষকবৃন্দ। এছাড়াও বুয়েট, কুয়েট, চুয়েট, রুয়েট, ডুয়েট, আইইউটি এবং দেশের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান যেমন আইডব্লিউএম (IWM), CEGIS, নদী গবেষণা ইন্সটিটিউট ইত্যাদিতে কাজ করছেন এমন গবেষকরা পেপার সাবমিট করেছেন।

দেশে ও দেশের বাইরের সম্মানিত গবেষকবৃন্দ যারা আওয়ামী লীগের 'ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ফোরআইআর ফর ইমার্জিং ফিউচার" এ পেপার ও পোস্টার জমা দিয়েছেন, সবাইকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। দেশের প্রথিতযশা শিক্ষক ও গবেষকদের নিয়ে কনফারেন্সের একটি টেকনিক্যাল কমিটি আছে যারা পেপারগুলো রিভিউ করছেন। আমন্ত্রিত ও নির্বাচিত পেপারগুলো কনফারেন্স জার্নালে প্রকাশ করা হবে। এছাড়াও কনফারেন্সে বেস্ট পেপার ও বেস্ট পোস্টার পুরস্কৃত করা হবে।

যারা স্বশরীরে কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, তাদের জন্য দুদিনব্যাপী কনফারেন্সের সবগুলো সেশন লাইভ করা হবে। ইতোমধ্যে ওয়ার্ল্ড টেক ইন্ডাস্ট্রি লিডারদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কনফারেন্সে অংশ নিতে।

বিভি/এসআই

মন্তব্য করুন: