ভয়াল আগস্ট ১৫: বঙ্গবন্ধু তুমি অবিনশ্বর

বাঙালি জাতির কাছে অন্ধকারময় দিন ১৫ই আগস্ট। জাতির দিশারী , আলোকবর্তিকা নিরস্ত করার এক অন্ধকারময় অধ্যায়। বাঙালী জাতির ইতিহাসে যা চিরকাল ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে বেঁচে থাকবে। দেশের মুক্তিকামী জনতার আর্দশের প্রতীক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে রচিত এই কালো অধ্যায়কে নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরেছেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইভা আক্তার।
‘তুমি অবিনশ্বর বঙ্গবন্ধু’
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। এই দিনে আমরা হারিয়েছি মহাননেতা স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ‘বঙ্গবন্ধু’ নামটার সাথে জড়িয়ে আছে বাঙালির স্বপ্ন, বাঙালির আবেগ, বাঙালির ভালোবাসা। তিনি বাঙালি জাতির কাছে অবিনশ্বর। তাঁর পুরো জীবনকাল ছিল দেশের কল্যাণে নিবেদিত। তাই আমরা যেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশকে গড়ে তুলি এবং আমাদের জীবনেও তাঁর আদর্শ প্রতিফলিত হয়। কেবল মুখে বলে নয় কাজের মাধ্যমে আমাদেরকে তা প্রমাণ করতে হবে।
নাজিয়া আফরোজ
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
‘নৃশংসতায় জাতি হারালো সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নেতাকে’
‘বঙ্গবন্ধু’ বাঙালি জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা। তাঁর প্রতিভা ও সাহসী নেতৃত্বে মন জয় করেছিলেন সাধারণ মানুষের। তাঁর সর্বোচ্চ ত্যাগে হয়ে উঠেন জনগণের নেতা। ১৫ আগস্ট কিছু বিপথগামী ঘাতকের হাতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে তাঁর প্রাণ যায়, জাতির বুকে নেমে আসে অন্ধকার। নির্ভীকচিত্তে যিনি মানুষের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কাজ করতেন, যিনি বাঙালির স্বাধীনতা ও জাতীয় ঐক্য নিয়ে কাজ করতেন তাকে হত্যা করে জাতি কলঙ্কিত হলো। তিনি যে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, দারিদ্রমুক্ত সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নেই হবে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের সর্বোত্তম পন্থা। অনুপ্রেরণার বাতিঘর বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন প্রতিটি বাঙ্গালির অন্তরে, তিনি অমর।
মাহবুব আলম রিয়াজ,
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স)।
‘অমর বঙ্গবন্ধু’
আগস্ট মানে রক্তঝরা মাস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে শোকার্ত ও বেদনাদায়ক মাস এই আগস্ট। যে মাসে ঘটেছিলো জাতির ইতিহাসের পাতায় অঙ্কিত হয়েছে চরম কলঙ্কিত এক অধ্যায়ের৷ সবেমাত্র যুদ্ধ বিদ্ধস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। হাত দিয়েছিলেন দেশের সার্বিক উন্নয়নে। কিন্তু শত্রুদের কাছে তিনি ক্রমেই অসহনীয় হয়ে ওঠেন। যার চূড়ান্ত পরিণতি রক্তঝরা ১৫ই আগস্ট। আজ তিনি নেই। বেঁচে আছে তার আদর্শ। তরুণ প্রজন্মের কাছে যা অনুকরণীয়, অনুসরনীয়। তিনি বেঁচে থাকবেন হাজারো বাঙালির হৃদয়ে।
রিয়া রানী মোদক
ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
‘বেদনাবিধুর আগস্ট’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিপথগামীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প। শেখ মুজিবর রহমানের সুচিন্তা থেকে আজকের বাঙালির শেখার আছে বলে উল্লেখ করে ভারতীয় বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, তাকে ‘বাংলাদেশের জনক’ বা বঙ্গবন্ধু বলাটা নিতান্তই কম। মানুষ তাকে অন্তর থেকে ভালোবাসতেন।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এক হীন লজ্জার সম্মুখীন হয়েছিলো বিশ্ব দরবারে। তাই এই লজ্জা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার জন্য তরুণ প্রজন্মের নাবিক হিসেবে একটাই চাওয়া বঙ্গবন্ধুর পলাতক সকল খুনীদের বিচারের আওয়াত এনে দ্রুত তাদের রায় কার্যকর করা হোক।
নাইমোর রহমান ধ্রুব,
ভেটেরিনারি এন্ড এ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদ, গণ বিশ্ববিদ্যালয়।
লেখক: ইভা আক্তার- শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মী
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: