• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ফের বাংলাদেশ নিয়ে ময়ুখের মিথ্যাচার, আইনি নোটিশে থামবে আর. বাংলা?

প্রকাশিত: ১৫:২৬, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

ফন্ট সাইজ
ফের বাংলাদেশ নিয়ে ময়ুখের মিথ্যাচার, আইনি নোটিশে থামবে আর. বাংলা?

নাম তার ময়ুখ রঞ্জন ঘোষ। পেশায় সাংবাদিক হলেও সাংবাদিকতার নীতি বহির্ভূত কাজ করতেই বেশি পটু তিনি। তার উদ্ভট অঙ্গভঙ্গি ও চিৎকার চেচামেচি দেখে মনে হবে তিনি হয়ত পেশাদার মলম বিক্রেতা বা সার্কাসের জোকার। বাংলাদেশ নিয়ে নির্জলা মিথ্যাচার করা ও প্রপাগান্ডা ছড়ানো এই লোককে নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। তবে এত এত সমালোচনা ও বিতর্কও তার লজ্জাবোধ জাগাতে পারেনি। এবার তিনি এসেছেন বাংলাদেশ থেকে চট্টগ্রামকে আলাদা করার মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ নিয়ে ভয়াবহ মিথ্যাচারে ভরা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কলকাতার বিজেপি মদদপুষ্ট টিভি চ্যানেল রিপাবলিক বাংলা। ৮ মিনিট দৈর্ঘের সে প্রতিবেদনের পুরোটা জুড়েই ছিলো বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য ও প্রপাগান্ডায় ভরা। যেখানে দাবি করা হয় বাংলাদেশ থেকে স্বাধীনতা চাইছে চট্টগ্রাম বিভাগ। গ্রাফিক্যাল উপস্থাপনায় চট্টগ্রাম কে ভারতের অংশ করলে তাদের কি কি লাভ হতে পারে তা নিয়ে করা হয় বিস্তর আলোচনা। চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৯৯ শতাংশ মানুষ হিন্দু-বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন - এমন ভয়ংকর মিথ্যা কথাও বলতে শোনা যায় ময়ুখকে।

চট্টগ্রাম অঞ্চলে হিন্দু ধর্মালম্বীদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে বলে দাবী করেন ময়ুখ। তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালের পর থেকে অত্যাচারের শিকার হতে হতে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে বিতাড়িত হন হিন্দুরা। কিন্তু তার এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মনগড়া। ইতিহাস অনুযায়ী, বাংলাদেশ ভুখন্ডের চট্টগ্রাম অংশেই প্রথম ইসলাম প্রচার শুরু হয়। মুঘল সুবেদার শায়েস্তা খানের আমলে এই অঞ্চলের নাম ছিল ইসলামাবাদ। বাংলাদেশের খ্যাতিমান ঐতিহাসিক ড. আবদুল করিমের মতে,  হিজরি প্রথম শতকেই ভারতীয় উপমহাদেশে তথা মালাবারে ইসলামের আগমন ঘটে। চট্টগ্রাম দিয়েই সর্বপ্রথম বাংলাদেশে ইসলামের যাত্রা শুরু হয়। আর এ কারণে চট্টগ্রামকে ইসলামের প্রবেশদ্বার বলা হয়। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, ইতিহাস ও প্রতিষ্ঠিত সত্যের তোয়াক্কা না করে দেদারসে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছেন এই অপ-সাংবাদিক।

একের পর এক অসত্য সংবাদ প্রকাশের কারণে বেজায় বিরক্ত নেটিজেনরা। তার অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে সামাজিক মাধ্যমে কেউ তাকে মন্তব্য করছেন পাগল, আবার কেউ বলছেন কমেডিয়ান। কিন্তু এত কিছুর পরও থামার নাম-গন্ধ নেই তার। উল্টো  মিথ্যাচারে সহায়তা করতে তিনি সাথে নিয়েছেন সন্তু নামের আরেক লোককে। দুজন মিলে গলাবাজি করে টানা ৮ মিনিট ধরে তারা যা বলেছেন, তা রীতিমত অপরাধের পর্যায়ে চলে গেছে।

চ্যানেলোটির কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। প্রপাগান্ডা চালানোর অভিযোগে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে ভারতীয় চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে তাদের নিউজ ও কন্টেন্ট নিষিদ্ধ ও ব্লক করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তবে নেটিজেনদের অনেকে বলছেন শুধু নোটিশেই সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। মলম বিক্রেতা খ্যাত এই প্রপাগান্ডা মাস্টারকে অবশ্যই উপযুক্ত বিচারের আওতায় আনতে হবে । 

 

লেখকঃ মীর ফজলে রাব্বি
নিউজরুম এডিটর, আন্তর্জাতিক বিভাগ, বাংলাভিশন

বিভি/এমএফআর

মন্তব্য করুন: