বিশ্বে সবচে কম মাংস খায় বাংলাদেশের মানুষ!

এই পৃথিবীতে কোন দেশের মানুষ সবচে কম মাংস খেতে পায় - জানেন? উত্তরটি হচ্ছে বাংলাদেশ। জ্বি আমাদের বাংলাদেশের মানুষই সবচে কম মাংস খেতে পারছে। মাথাপিছু সবচেয়ে বেশি গরুর মাংস খাওয়া ৫০ দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিবেদনে বিশ্বের সবচেয়ে কম মাংস খাওয়া দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে এক নম্বরে। বাংলাদেশিদের বছরে মাথাপিছু মাংস ভোগের পরিমাণ চার কেজি। অর্থাৎ, একজন মানুষ সারা বছরে চার কেজি মাংস খান। 

বাংলাদেশে মাংস খেতে কোন ধর্মীয় বা সামাজিক বিধিনিষেধ নাই তারপরও আর এই কম মাংস খেতে পারার কারণটি অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতা। ক্রয় ক্ষমতার অভাব। দেশটি কতটা দরিদ্র সেটা বোঝার একটা অন্যতম মাপকাঠিও এটি। বাংলাদেশের শহুরে মানুষের খাবার তালিকায় প্রায়ই মাংস থাকলেও গ্রামের মানুষের মাংস খাওয়ার হার খুবই কম। দাম বেশি হওয়ার কারণে গ্রামের মানুষের গরু ও খাসির মাংস খাওয়ার পরিমাণ খুবই কম। ঈদ, বিয়েসহ বড় উৎসব ছাড়া গ্রামের দরিদ্র পরিবারগুলো গরুর মাংস খেতে পারে না। 

দ্বিতীয় কম মাংস খাওয়া দেশটি হচ্ছে ভারত। যারা ভাবছেন ভারতে ভেজিটেরিয়ানদের সংখ্যাধিক্ষের জন্য তারা কম মাংস খাওয়া দেশ হতে পারে; তাদের জন্য বলছি ভারতের ৭৫% মানুষই মাছ-মাংস খায় বা নন-ভেজ। অর্থাৎ ভারতে ভেজিটেরিয়ানদের সংখ্যা মাত্র ২৫%। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম দরিদ্র দেশ; এবং তাদের দেশের মানুষের জন্য পর্যাপ্ত মাংসের জোগান নেই। 
আর তৃতীয় কম মাংস খাওয়া দেশটি হচ্ছে বিশ্বের সবচে দরিদ্রতম দেশ বুরুন্ডি। চতুর্থ অবস্থান দখল করে রেখেছে শ্রীলংকা।

অপরদিকে বিশ্বের সবচে বেশী মাংস খাওয়া চারটি দেশ হচ্ছে যথাক্রমে হংকং (চায়না-সার), অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও আর্জেন্টিনা।

(বাংলাভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, বাংলাভিশন কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার  বাংলাভিশন নিবে না।)