রাফসানের প্রথম হওয়া এবং মেধাবীদের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি
আব্দুর রহমান
প্রকাশিত: ১৩:২৯, ১৩ মার্চ ২০২৩

ছবির ছেলেটির নাম রাফসান জামান। সে এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সারাদেশে প্রথম হয়েছে। পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, রাফসান বলেছে, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ততটা খুশি হতে পারেননি তাই মন কিছুটা খারাপ ছিল। তবে তিনি মোটামুটি নিশ্চিত ছিলেন, মেডিকেলে টিকবেন। সারা দেশের মধ্যে প্রথম হবেন, তা কিন্তু ভাবতে পারেননি। ফলে আজ রোববার পরীক্ষার ফল ঘোষণার পর বিস্মিত হন রাফসান জামান।
সারাদেশে প্রথম হওয়া একজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষার পর তার শুধু মনে হয়েছিলো 'টিকে যাবেন'! বিষয়টা আমাকে অবাক করেছে।
যিনি সারাদেশে প্রথম যে হতে পারেন তার তো পরীক্ষার পরপরই কিছুটা হলেও তা বুঝতে পারার কথা, সেরা না হলেও সেরা ১০/ ২০ বা একশ’জনে থাকবেন- এমন আত্মবিশ্বাস থাকার কথা।
কিন্তু রাফসান জামান বলেছে তার বিশ্বাস ছিল সে টিকে যাবে!
কয়েক বছর আগে বিসিএস এ সারাদেশে প্রথম হওয়া একজনও এমন কথা বলেছিল, তার ধারণা ছিল সে কোন একটা ক্যাডার পাবে, কিন্তু প্রথম হবে এমনটা সে ভাবেনি।
মেধাবীদের এই ‘ভেবেছিলাম টিকে যাব’ কিংবা ‘যে কোন একটা ক্যাডার পাব’-এ ধরণের কথাকে তাদের বিনয় মনে করার কারণ নেই, কারণ তাদের বক্তব্য আলগোছে ধরণের।
অর্থাৎ বক্তব্য দেয়ার ক্ষেত্রেও তাদের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিটা প্রবল।
আমরা হয়তো ঔদ্ধত্ব্য পছন্দ করি না, কিন্তু সারাদেশে প্রথম হবে এমন একটি ছেলে ভাববে ‘হয়তো চান্স পাবো’ধরণের কথাও এমন মেধাবীদের সাথে যায় না।
আমাদের মেধাবী যেমন প্রয়োজন, তেমনি তারা আত্মবিশ্বাসী হবেন এটাও কাম্য।
মেধাবীদের আত্মবিশ্বাসের এমন ঘাটতি, জাতি হিসেবেই আমাদের আত্মবিশ্বাসহীনতার পরিচায়ক হয়ে উঠবে না তো?
লেখক : বার্তা সম্পাদক, বাংলাভিশন
মন্তব্য করুন: