এফবিসিসিআই -এর সংস্কার কেন জরুরি?

এফবিসিসিআই লোগো ও লেখক আবুল কালাম
৫ ই আগষ্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার মত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বাণিজ্য সংগঠন "বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি (এফবিসিসিআই) " এর সংস্কারের দাবিতে সোচ্চার হয় বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদ - এফবিসিসিআইএ'র নেতৃত্বে বাংলাদেশের বঞ্চিত ও শোষিত ব্যবসায়ীবৃন্দ। কেননা বিগত ১৬ বছর এফবিসিসিআই কে একটি অকার্যকর ও দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে বিগত সরকার। যার ফলশ্রুতিতে ব্যবসায়ীরা হয়ে পড়ে অভিভাবকহীন এবং সাধারণ উদ্যোক্তারা জিম্মি হয়ে পড়ে বিগত সরকারের আর্শীবাদপুষ্ট সিন্ডিকেটের কাছে।
বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদের নেতৃবৃন্দ জাকির হোসেন নয়ন, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী খোকন, জাকির হোসেন ও আতিকুর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ চেম্বার ও এসোসিয়েশনের সদস্যদের নিয়ে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবিসমূহ দৃঢ়তার সাথে ব্যক্ত করেন। সফল আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারের দোসর পরিষদ ভেঙ্গে প্রশাসক নিয়োগে সমর্থ হন। বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদ -এফবিসিসিআই বেশ কয়েকটি সভা আহবান করে এবং উক্ত সভায় সকল এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সংস্কার প্রস্তাব ও লিখিত মতামত চাওয়া হয়।
চেম্বার ও এসোসিয়েশন থেকে জমাকৃত প্রস্তাবনা থেকে সংকলন করে "বৈষম্য বিরোধী সংস্কার পরিষদ - এফবিসিসিআই" এর পক্ষ থেকে এফবিসিসিআই এর প্রশাসক জনাব হাফিজুর রহমান ও মহাপরিচালক, বাণিজ্য সংগঠন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর কাছে লিখিত ভাবে পেশ করেন এবং মাননীয় বাণিজ্য উপদেষ্টা বশির উদ্দিনের সাথে কয়েক দফা সাক্ষাৎ করে সংস্কারের বিষয়ে পরিষদের জোরালো অবস্থান ব্যক্ত করেন। সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও আলোচনায় স্পষ্ট দাবী জানান যে, দেশের অর্থনৈতিক স্হিতিশীলতা, বৈষম্যহীন এফবিসিসিআই গঠন ও স্পল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এফবিসিসিআই সংস্কার জরুরি।
সরকার ব্যবসায়ীদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং এটি শেষ পর্যায়ে। কিন্তু অতীব দুঃখের সাথে বলতে হয় একটি স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিগত দিনের ন্যায় এটাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। তারা বছরের পর বছর এফবিসিসিআই -এর বিভিন্ন পদ ব্যবহার করে সুযোগ সুবিধা নিয়েছে। কোন ভাবেই তারা চায় না নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হোক।
গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবঃ
১। মোট পরিচালকের সংখ্যা ৮০ থেকে ৫০ এ নিচে নামিয়ে আনা। মনোনীত পরিচালকের সংখ্যা ৩৪ থেকে সর্বোচ্চ ১২ তে নামিয়ে আনা।
২। সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি, সিনিয়র সহ সভাপতি ও সহ সভাপতি নির্বাচিত হওয়া।
৩। টানা দুবার পরিচালক হওয়ার পর একবার বিরতি দেয়া।
সংস্কার কেন জরুরি?
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএম ই খাতের অবদান প্রায় ৩২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৩ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুসারে, দেশে ৭৮ লাখের বেশি কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এটি মোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ৯৯ শতাংশের বেশি। শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ হয় এসএমই খাতে। এই খাতে আড়াই কোটির বেশি জনবল কর্মরত।
কিন্তু এ সকল উদ্যোক্তাদের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিনিয়োগ বা ঋণ প্রাপ্তি খুবই জটিল এবং সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া কিন্তু ব্যাংক লুটেরা কতিপয় ব্যবসায়ী বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠন ও এফবিসিসিআই এর পদ পদবী ব্যবহার করে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে আত্নসাৎ করেছে এবং বিভিন্ন দেশে পাচার করেছে। সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকা থেকে ভর্তুকি দিয়ে বছরের পর বছর এ সকল ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা ব্যাংক থেকে ঋণ পায় না। সরকারের রাজস্ব আহরণের উল্লেখযোগ্য হার আসে ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প ও সেবা খাত থেকে।
এফবিসিসিআই এর বিগত ৬ টি কমিটি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় প্রায় ৪০ শতাংশ পরিচালক বারবার পরিচালক পদে নমিনেশন পেয়েছেন। কারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ার কারণে একই লোক সরকারের অনুগত ও সিন্ডিকেটের সদস্য হওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন পদ ও সুযোগ সুবিধা বাগিয়ে নিতেন। নতুন ও কার্যকরি, প্রকৃত ব্যবসায়ীদের নেতৃত্বের কোন সুযোগ দেয়া হতো না বরং পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হতো।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের তফসিল ভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি। বিগত সরকারের সময় রাজনৈতিক বিবেচনায় ২৬ টি ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রদত্ত এসকল ব্যাংকের পরিচালক ও চেয়ারম্যান হয়েছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতারা।অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতে বাংলাদেশের মত ৪৫০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে ৬১ টি ব্যাংকের কোন প্রয়োজন নাই। সরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহন করে বেসরকারী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছেন এ রকম নজির ও স্হাপন করেছেন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। বেসরকারি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ইন্সুরেন্স কোম্পানি, বেসরকারী টেলিভিশন, এফ এম রেডিও, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারী মেডিকেল কলেজ , বিদ্যুৎ উৎপাদনের লাইসেন্স ও বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চল সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে অলিগার্ক হিসাবে গড়ে ওঠেছে বিগত সরকারের আর্শীবাদ পুষ্ট কিছু ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। কিন্তু সংগঠন বা ফেডারেশনের সাধারণ সদস্যদের কাছে তাদের কোন দায়বদ্ধতা ছিলোনা, তাদের আনুগত্য ছিল বিগত সরকারের প্রতি, দুর্নীতিগ্রস্হ এমপি ও মন্ত্রীদের প্রতি এবং কিছু প্রভাবশালী পরিবারের প্রতি।।
বিগত সরকারের ভুল মুদ্রা নীতি ও অর্থ ব্যবস্হার কারণে বাংলাদেশে বৈদেশিক রিজার্ভের ব্যাপক ঘাটতি হয়, তখন এ সকল ব্যাংক মালিক ও অলিগার্ক গ্রুপ নিজেদের স্বার্থে ব্যাংক অন্য ব্যবসায়ীদের এলসি বন্ধ করে তাদের নিজেদের এলসি চালু রাখে। সাধারণ ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে, অনেক ফ্যাক্টরি কাঁচামালের অভাবে বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। অথচ ব্যাংক ও ব্যাংক মালিকরা পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে সকলকে আনুপাতিক হারে এলসি খোলার সুযোগ দেয়া উচিৎ ছিল। ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ তখন নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত ছিল, সদস্যদের বা ৪.৫ কোটি ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি।
বিগত সরকারের সময় রাজনৈতিক নেতৃত্ব, আমলা ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ মিলে একটি সুবিধাবাদী অলিগার্ক গোষ্ঠী গড়ে তোলে। এরা সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন অনৈতিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে কিভাবে আওয়ামী শাসনকে টিকিয়া রাখা যায় এটায় ছিল এদের কাজ। যা আমরা ২০২৪ সালের তথাকথিত জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রাক্তন সরকারপ্রধানের সাথে মিটিং ও জুলাই -আগষ্ট গণ আন্দোলনের সময় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের ভূমিকা থেকে স্পষ্ট দেখতে পায়। নূন্যতম মানবতাবোধ না দেখিয়ে নিজেদের স্বার্থের কারণে গণহত্যাকারী শাসকের লেঁজুড় বৃত্তি করে প্রধানমন্ত্রী অফিসের মিটিং এ যেয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে আমৃত্যু পাশে থাকার, ফ্যাসিজমকে টিকিয়ে রাখতে পত্রিকা, টেলিভিশন সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম ব্যবহার করে মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা চালানো সহ বিভিন্ন সহযোগিতা করেছেন।
ব্যবসায়ী নেতা ও এফবিসিসিআই এর মূল কাজ ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সরকারের সাথে দরকষাকষি করা, নীতি সহযোগিতা আদায় করা। অথচ বিগত ১৬ বছর এফবিসিসিআই ক্ষমতাশীল দলের অঙ্গ সংগঠন হিসাবে ভূমিকা পালন করেছে।
বাংলাদেশ নভেম্বর ২০২৬ এ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ লাভ করবে। এলডিসি গ্রাজুয়েট হওয়ার পর বাংলাদেশ অনেক গুলো নতুন চ্যালেন্জের মুখে পড়বে। স্বল্পোন্নত দেশ হওয়ার কারণে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) আওতায় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। কিন্তু এলডিসি থেকে চূড়ান্ত উত্তরণের পর এই সুবিধাগুলো আর থাকবে না। সম্প্রতি এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রকাশিত ‘Expanding and Diversifying Exports in Bangladesh: Challenges and the Way Forwards’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে রপ্তানি পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হলে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫.৫ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
তাছাড়া এলডিসিভুক্ত হওয়ার কারণে ডব্লিউটিওর ‘Agreement on Trade Related Aspects of Intellectual Property Rights (TRIPS)’ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেধাস্বত্ব হিসেবে ওষুধ আবিষ্কারক প্রতিষ্ঠানকে কোনো অর্থ প্রদান করতে হয় না। ট্রিপস চুক্তি অনুযায়ী ২০৩৩ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত এলডিসিভুক্ত দেশগুলো এ সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাণিজ্য সংগঠনের অনেক ভূমিকা রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের ( মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ) এফটিএ করা জরুরি। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের রপ্তানি ঝুঁকিতে পড়বে, বিদ্যমান রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হলে অগ্রাধিকার মূলক বাণিজ্য চুক্তি ( পিটিএ) হলেও করা জরুরি। পোশাক রপ্তানিতে আমাদের প্রতিযোগি দেশ ভিয়েতনামের প্রায় ৪০ টির অধিক দেশের সাথে এফটিএ রয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের কোন দেশের সাথে এফটিএ নেই শুধু ভুটানের সাথে পিটিএ রয়েছে। এ টা প্রমাণ করে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরনের প্রস্তুতি খুবই সামান্য।
বাংলাদেশের রপ্তানি বাস্কেট বৈচিত্র্যময় করার বিষয়ে অনেক কথা শোনা যায় কিন্তু কার্যকর কোন ভূমিকা নিতে দেখা যায় না। আমাদের রপ্তানির প্রায় ৮৫ শতাংশ তৈরি পোশাক খাতের উপর নির্ভরশীল। এটি যেকোন দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো না। অর্থনৈতিক স্হিতিশীলতা, বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রপ্তানি খাতের বৈচিত্রময়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গত বছর এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এক্সপান্ডিং অ্যান্ড ডাইভারসিফাইং এক্সপোর্টস ইন বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড দ্য ওয়ে ফরোয়ার্ড' শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে বৈষম্যমূলক নীতিমালার কারণে দেশের রপ্তানি খাত বৈচিত্র্যহীন।
এফবিসিসিআই এর কোন কার্যকর গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাই। রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন নীতি সহায়তা প্রাপ্তির জন্য গবেষণার মাধ্যমে কোনটি ব্যবসায়ীদের জন্য লাভজনক হবে সে বিষয়ে সুপারিশ করা।
এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করার জন্য প্রয়োজন শিক্ষিত, দক্ষ ও বিভিন্ন খাতের নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রকৃত ব্যবসায়ীরা যেন বাণিজ্য সংগঠন বা এফবিসিসিআইকে পরিচালনা করতে পারে এমন একটি বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা । যা নতুন অলিগার্ক সৃষ্টি করবে না, বরং ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ খাতসহ সকল খাতের জন্য কাজ করবে, এগিয়ে নিয়ে যাবে দেশের অর্থনীতিকে। সুখী সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
লেখক: এসএমই উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারক
ইমেইল- azad.panacea@gmail.com
(বাংলাভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, বাংলাভিশন কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার বাংলাভিশন নিবে না।)
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: