বিএনপি নেতা ইশরাককে না পেয়ে ভাই ইশফাককে নিয়ে গেলো পুলিশ

ছবি: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন (বায়ে)-এর সঙ্গে ভাই ইশফাক হোসেন (ডানে)
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে বাসায় না পেয়ে তার ছোট ভাই ইশফাক হোসেন ও গাড়ি চালক রাজিবকে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ। রবিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে গুলশানের বাসা থেকে তাকে ডিবি পুলিশের নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইশরাক হোসেনের মা ইশমত আরা।
ইশমত আরা জানান, দুপুর আনুমানিক ১১টার দিকে তার বাসায় সাদা পোশাকধারী একদল লোক এসে নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে ইশরাক হোসেনের খোঁজ করতে বাসায় তল্লাশি চালায়। গুলশান থানা পুলিশের একটি টিমও তল্লাশিতে অংশ নেন বলেও জানান তিনি। এসময় পুরো বাসা তন্নতন্ন করে খুঁজে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে কোথাও না পেয়ে অবশেষে তার ছোট ভাই ইশফাক হোসেনকে সাথে নিয়ে যায় তারা। তবে ইশফাকের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই বলে জানান ইশরাক হোসেনের মা। তাছাড়া কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে তিনি নন বলেও জানান তার মা।
এসময় তিনি বলেন, ‘আমার ছোট ছেলে কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নন এবং তার নামে কোন ধরনের মামলা বা কোনো ধরণের অভিযোগও নেই কোথাও।’ তারপরও তাকে নিয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। সেইসাথে তার ছোট ছেলেকে অচিরেই বাসায় ফিরিয়ে আনার প্রত্যাশা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ইশরাক হোসেন ঢাকার সাবেক মেয়র ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে।
এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বনানীর বাসায়ও তল্লাশি চালায় পুলিশ। তবে তার বাসায় তাকে পাওয়া যায়নি। একইদিন সকালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের লালমাটিয়ার বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে ডিবি পুলিশ। তাকে না পেলেও বাসার প্রতিটি রুম তল্লাশি চালায় তারা। এরপর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তার বনানীর বাসায় যায় ডিবি পুলিশ। এ ছাড়া রবিবার সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে রাত থেকে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের রাজধানীর শাহজাহানপুরের বাসা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছে। বিএনপি চেয়াপার্সনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, পুলিশ মির্জা আব্বাসের বাড়ির প্রধান গেট ভাঙার চেষ্টা করছে। যে কোনো সময় ভেতরে ঢুকে তাকে তুলে নিয়ে যেতে পারেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
বিভি/এনএম/টিটি/এমআর
মন্তব্য করুন: