• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ১২ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

পটুয়াখালী-৪ আসনে ৩ ভাইয়ের লড়াই!

প্রকাশিত: ১৫:০৭, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১৫:১০, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
পটুয়াখালী-৪ আসনে ৩ ভাইয়ের লড়াই!

মহিববুর রহমান, মাহবুবুর রহমান ও হাবিবুর রহমান

 

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মহিববুর রহমান। তবে দলটির আরো ৩ নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। তাদের মধ্যে দু'জন আবার আওয়ামী লীগ প্রার্থীর আপন মামাতো ভাই। দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে তিন বারের এমপি ও সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদারের পাশাপাশি তারই আপন ছোট ভাই অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাবিবুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন । এছাড়া প্রায়ত সংসদ সদস্য আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে আব্দুল্লাহ আল ইসলাম লিটনও প্রার্থী হয়েছেন।

 

 বৃহস্পতিবার কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো.জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে মনোনয়ন পত্র জমা দেন তারা। এর আগে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন উল্লেখিত তিন জনই । কিন্তু দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় বর্তমান সংসদ সদস্য মহিববুর রহমানকে। 

আপন দুই ভাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে এলাকা জুড়ে চলছে নানান আলোচনা-সমালোচনা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দুই ভাইয়ের কাড়াকাড়িতে ক্ষুন্ন হচ্ছে দলের ভাবমূর্তি।

 এ বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, 'আমার বড় ভাই মাহবুবুর রহমান তালুকদার কিছু লোকের প্ররোচনায় প্রার্থী হয়েছেন। আমি মনে করি এটা তার ভুল সিদ্ধান্ত। সে তিন বার এমপি ছিলো, আমি তাকে সাপোর্ট দিয়েছি বিভিন্নভাবে। আমার সাপোর্ট না পেলে তিনি এত দূর এগুতে পারতো না। এবার আমি আশা করছিলাম যেহেতু তিনি অসুস্থ্য, তাই সে আমাকে সাপোর্ট দিবেন। কিন্তু তিনি কিছু সুবিধাবাদী লোকের প্ররোচনায় প্রার্থী হয়েছেন।'  হাবিবুর রহমান বলেন, 'যারা মাহবুবুর রহমান তালুকদার এমপি থাকা অবস্থায় লুটপাট করেছে, এইসব লোকেরাই এবারও তাকে প্রার্থী করেছেন, যাতে আবারও লুটপাট করতে পারেন। তবে আমি শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব, এক পা পিছু হঁটবোনা।'


কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান তিন বারের এমপি ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ছিলন। তার সময়কালে এলাকয় বিপুল উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে। দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা ও পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটাকে কেন্দ্র করে বদলে গেছে এককালের পশ্চাৎপদ এই জনপদ। তবে তাঁর সমালোচকরা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত আগ্রহেই বিপুল উন্নয়ন হয়েছে অত্র এলাকায়। তাছাড়া মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)এর একাধিক মামলা। এবং তার নিজস্ব ক্যাডার বাহীনির বিরুদ্ধে ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ নানা অভিযোগও রয়েছে। দলীয় কর্মীদের সঙ্ড়ে আক্রমনাত্মক আচরন করেও একাধিকবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন সাবেক এই এমপি।

 

 ১৯৭০ সাল থেকে এই আসনটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাটি। কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব তালুকদার জানান, বিদ্রোহী প্রার্থীরা দলের মঙ্গল জনক নয়। যেখানে জাতীয় পার্টি এবং জাসদ নির্বাচন করছে সেখানে আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থী দলের জন্য বিপদজনক। যেটি আমারা কোনভাবেই মানতে পারিনা। 

 রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান মামুন জানান, বিদ্রোহীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নেই । নৌকা ছাড়া অন্য কোন প্রতীকের পক্ষে কাজ করবেনা আমরা ।

১১৪ পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলা এবং মহিপুর থানা) আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ০৭ জন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীই ০৩ জন। রয়েছে জাতীয় পার্টি, জাসদ ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থীও।

মন্তব্য করুন: