• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

রাতের বিক্ষোভ চলছে সকালেও, যমুনার সামনে এনসিপি নেতা-কর্মীদের ১ দফার হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত: ০৮:৩৮, ৯ মে ২০২৫

আপডেট: ০৮:৩৮, ৯ মে ২০২৫

ফন্ট সাইজ
রাতের বিক্ষোভ চলছে সকালেও, যমুনার সামনে এনসিপি নেতা-কর্মীদের ১ দফার হুঁশিয়ারি

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এখনও চলছে। 

শুক্রবার (৯ মে) সকালেও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কয়েকশ নেতা-কর্মী বিক্ষোভ করছেন। তারা কিছুক্ষণ পরপর স্লোগান দিচ্ছেন।

কখনো টানা আবার কখনো কিছুটা বিরতি দিয়ে যমুনার সামনে স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন এনসিপির নেতা-কর্মীরা। সেখানে বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আমরা সরকারের বাইরে এবং ভেতরে সেই দাবি বলেছি। কিন্তু আজকে ৯ মাস পরেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য আমাদের আবার রাজপথে নামতে হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।

এর আগে রাত ১০টার পর থেকেই অবস্থান করছেন এনসিপি মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহসহ কয়েক শতাধিক নেতা-কর্মী। 

যমুনার সামনে গিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত যমুনার সামনে থেকে উঠবো না। 

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা আপনাকে সম্মান করি। যতক্ষণ না পর্যন্ত ঐ গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রদ্রোহী, সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা না করছেন এবং নিষিদ্ধ না করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ এখান (যমুনার সামনে) থেকে উঠবো না। 

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার আশ্বাসকে ‘প্রহসন’ বলে আখ্যা দিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, মূল দল আওয়ামী লীগকেই সন্ত্রাসী ও ফ্যাসিস্ট সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ করতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আপনারা আমাদের গুলি করে থামাতে পারবেন না, আমাদের এই জীবন আমরা ওয়াক্‌ফ করে দিয়েছি এই বাংলাদেশকে। যখন আমরা জুলাইয়ে রাস্তায় নেমেছিলাম, তখন আমরা সকল শক্তি জুলাইয়ের পক্ষে আমাদের জীবনটাকে ওয়াক্‌ফ করে দিয়েছিলাম। 

রাত দুইটার কিছুক্ষণ আগে যমুনার সামনে মাইকে স্লোগান দেওয়া হয়। এ সময় যমুনার আশপাশ স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে। কখনো স্লোগান ওঠে-  ‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’, ‘দিল্লি না, ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’ ‘নাহিদ, আক্তার আসছে, রাজপথ কাঁপছে’, ‘একটা একটা ছাত্রলীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও ঘুরিয়ে দাও’, ‘২৪ বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, প্রভৃতি বলে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচির কারণে যমুনার সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: