• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

Drama: Jamai Bou Chor
Drama: Jamai Bou Chor

যারা হঠাৎ বড়লোক হয়, তারা সাধারণত অপরাধী বা চোর: এম এ মালিক

প্রকাশিত: ১৫:৪৩, ১ জুলাই ২০২৫

ফন্ট সাইজ
যারা হঠাৎ বড়লোক হয়, তারা সাধারণত অপরাধী বা চোর: এম এ মালিক

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালিক হঠাৎ সম্পদ অর্জন এবং বিতর্কিত অবকাঠামো প্রকল্প নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, যারা হঠাৎ বড়লোক হয়, তারা সাধারণত অপরাধী বা চোর।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সিলেট-৩ আসনে তিনি ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ জোরদার করছেন। সোমবার (৩০ জুন) দক্ষিণ সুরমায় এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি মালিক অভিযোগ করেন, আগের সরকার দেশ থেকে ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচার করেছে, যা তিনি ব্যক্তিগত এক আলাপে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছ থেকে শুনেছেন বলে দাবি করেন।

‘করিডোর প্রকল্প’ নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ভেতরে রাস্তা হলেও বাংলাদেশিরা সেটি ব্যবহার করতে পারবে না, অথচ খরচ বহন করতে হবে বাংলাদেশকেই।”

তিনি একইভাবে রামপাল এবং চট্টগ্রাম বন্দরসহ ভারতের হাতে চলে যাওয়া অন্যান্য প্রকল্প নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এসব থেকে দেশকে রক্ষার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আগামী ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনায় দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা জোরদার হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক জনসংযোগ ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে মালিক এই আসনের কেন্দ্রীয় আলোচনার ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন।

সন্ধ্যা ৯:৩০টায় সিলেট সদর ট্রাস্টের আয়োজিত শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মালিক জাতীয় ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রদত্ত বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শ আজও আমাদের ঐক্যবদ্ধ রাখে।

“আমরা সবাই বাংলাদেশি,” তিনি জোর দিয়ে বলেন। তিনি সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ যুক্ত করা এবং হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সুযোগ তৈরির কথা স্মরণ করিয়ে দেন।

উন্নয়ন প্রসঙ্গে মালিক তার নির্বাচনী এলাকায় বিশেষ করে সড়ক মেরামত ও উন্নয়ন কার্যক্রমের জরুরি প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। এলজিআরডি কর্মকর্তাদের পর্যাপ্ত অনুদান প্রদানের নির্দেশনা দিয়ে তিনি অভিযোগ করেন যে, এলজিআরডি থেকে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাত করে এলাকার উন্নয়ন ইস্যুতে আলোচনা করবেন বলে জানান।

তিনি বলেন, এখনও নির্বাচনের আগে পাঁচ মাস সময় আছে। এই সময়ে উন্নয়ন কাজ থেমে থাকবে না। স্থানীয় বিএনপি-সমর্থিত চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং কাউন্সিলরদের সরকারি বাজেট থেকে বরাদ্দ আনার আহ্বান জানান।

“যদি কেউ কথা না শোনে কিংবা আপনাদের আমার সহযোগিতা দরকার হয়, তাহলে আমাকে জানান, আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব,” তিনি উপস্থিত সবাইকে আশ্বস্ত করেন।

ইউরোপজুড়ে আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে সফল প্রতিবাদ কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়ে মালিক রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচিতি পান। তার আন্দোলনের কারণে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউরোপজুড়ে একপ্রকার অচ্ছুৎ অবস্থার মুখোমুখি হন।

জানা গেছে, ইউরোপের কোনো হোটেল শেখ হাসিনাকে তখন থাকতে দিতে চাইত না, আর যেখানে থাকতেন সেখানেও অবিরাম প্রতিবাদের মুখে তাঁর প্রতিনিধিদল বের হতে পারতেন না। এই আন্দোলনের অন্যতম কারিগর ছিলেন সিলেট-৩ আসনের জনপ্রিয় নেতা, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2