‘চাঁদাবাজি-দখলবাজির সাথে যেন কোনো নেতাকর্মীদের নাম শোনা না যায়’

বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি হিসেবে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আমাদের দ্বারা যেন কোনো সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। চাঁদাবাজি, দখলবাজির সাথে যেন কোনো বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নাম শোনা না যায়। মানুষ যেন আমাদের কোনো আচারণে ব্যথিত না হয়, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে রংপুর নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়স্থ বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব আয়োজিত জুলাই-আগস্ট গণভ্যূত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ব্লাড গ্রপিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের গত ১৬ বছর দূর্বিসহ দিন গেছে। কোনো তরুণ রাতে ঘুমাতে পারেনি। কারো রক্তাত্ব লাশ তিস্তার পাড়ে, পদ্মার পাড়ে, বুড়িগঙ্গার পাড়ে পড়ে থাকবে তার ঠিক ছিলো না। শেখ হাসিনার কড়াল গ্রাস থেকে কেউ নিস্তার পায়নি। তার ভয়াবহ বিষাক্ত থাবা থেকে গণতন্ত্র মনা মানুষ কেউ রেহাই পায়নি।
তিনি আরও বলেন, শহীদ আবু সাঈদ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তাক করা বন্দুকের সামনে বুক চেতিয়ে আত্মদান করেছিলেন। তার আত্মদানের মধ্য দিয়ে সারাদেশে তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠে। আমরা অনেক তরুণ ছাত্রদের হারিয়ে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিতে ভোটাররা দলকে ভোট দেবে। পরবর্তীতে দল তাদের প্রার্থী বেঁছে সেই আসনে দেবে। এতে করে এলাকায় এলাকায় আর কেউ নেতা হতে পারবে না। স্থানীয় পর্যায়ে আর কেউ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়বে না। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরশাসনের দিকে ঠেলে দেবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রংপুর মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাড. মাহফুজ উন নবী ডন, ড্যাব মহানগরের আহ্বায়ক ডা. নিখিলেন্দ্র শংকর গুহ, রংপুর মেডিকেল কলেজের আহ্বায়ক ডা. মাহমুদল হক সরকার, রংপুর জেলা ড্যাবের আহ্বায়ক ডা. খালেকুজ্জামান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ এবিএম মারুফ হাসান, লালমনিরহাট ড্যাবের সভাপতি ডা. আব্দুর রাজ্জাক রুবেল, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য ডা. হাসান আলীসহ অন্যরা।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: