এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা এখন খুলনায়

ছবি: সংগৃহীত
খুলনায় পৌঁছেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতারা। বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিশেষ নিরাপত্তায় তাদের গাড়িবহর খুলনায় পৌঁছে দেন।
এর আগে, দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে গোপালগঞ্জে এনসিপি পদযাত্রায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় রণক্ষেত্র তৈরি হয়। এ সময় পুলিশ-সেনাবাহিনী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। এ ছাড়া পুলিশ সাংবাদিকসহ আরও ১২ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। ঘটনার পরপরই এনসিপির নেতাকর্মীদের উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এর মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আকতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাসহ অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা ছিলেন।
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিকুর সালেহীন গণমাধ্যমকে বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে খুলনা প্রেসক্লাবে প্রেস ব্রিফিং করা হবে। কেন্দ্রীয় নেতারা রাতে খুলনায় থাকবেন কিনা, সে ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে গোপালগঞ্জে এনসিপির নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে খুলনার শিববাড়ি মোড়ে শিক্ষার্থী, এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
খুলনার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সাজেদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, ভাইদের ওপর হামলা আমরা মেনে নেবো না। আমরা মুজিববাদীমুক্ত বাংলা গড়বো ইনশাল্লাহ।
সানজিদা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, মেয়ে হয়েও আমরা জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি, আজ আমার ভাইদের ওপর হামলা করেছে আওয়ামী দোসররা, আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না।
শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, এটি প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা। গোপালগঞ্জ তো বাংলাদেশের বাইরে না, তবে কেন প্রশাসন নিরাপাত্তা দিতে ব্যর্থ হলো?
খুলনায় যেন কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সেজন্য এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থান প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: