গ্লোবাল ফ্লোটিলার কর্মীদের মুক্তির দাবি গণসংহতি আন্দোলনের

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে গাজা অভিমুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার কর্মীদের আটক এবং ফিলিস্তিনের গাজায় ইজরাইলিদের চলমান গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। 

নেতারা বলেন, মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর উদ্যোগে হামলা চালানো আসলে ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামকে দমন করার অংশ। ইজরাইল একদিকে গণহত্যা চালাচ্ছে, অন্যদিকে সারা দুনিয়ার মানুষের ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতির কণ্ঠস্বরও দমন করতে চাইছে।

তারা বলেন, গাজায় প্রতিদিন মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, হাসপাতাল ও ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হচ্ছে। এর মধ্যে ফ্লোটিলার কর্মীদের আটক করা ইজরাইলি আগ্রাসনের নগ্ন রূপ। আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর দ্বিমুখী ভূমিকা এই গণহত্যাকে আরও উৎসাহ দিচ্ছে।

তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে শহীদুল আলম ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুহি লোরেন বাংলাদেশের জনগণসহ সারা দুনিয়ার মানুষের ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতির প্রতিনিধিত্ব করছেন। তারা সহ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সকল কর্মীকে আমরা ধন্যবাদ জানাই এই উদ্যোগের জন্য।

নেতারা অবিলম্বে আটক কর্মীদের মুক্তি এবং গাজার অবরোধ তুলে নেওয়া, ইজরাইলি আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধ করে স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবির প্রতি সংহতি জানান। বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের জনগণের স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার কর্মীদের আটকের ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবিলম্বে প্রতিবাদ জানানোর জন্য আহ্বান জানান তারা।