সৌহার্দ্য, পরিবর্তন ও শান্তির অঙ্গীকারে উত্তরায় বিএনপির ভিন্নরকম মিছিল
সৌহার্দ্য, পরিবর্তন ও শান্তির অঙ্গীকারের বার্তা নিয়ে রাজধানীর উত্তরায় মিছিল করেছে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার বিকালে উত্তরায় শান্তির অঙ্গীকারের এই স্লোগানকে ধারণ করে একটি বিশাল মিছিল বের করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান সাগীরের নেতৃত্বে বিএনপি, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ও উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তফা কামাল হৃদয়ের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক দল, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রুয়েলের নেতৃত্বে যুবদল এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রবিউল আওয়াল ভূঁইয়া রবির নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সৌহার্দ্য, পরিবর্তন ও শান্তির বার্তা নিয়ে মিছিলে অংশ নেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান সাগীর বলেন, তৃণুমূল নেতা-কর্মীদের একটি বৃহৎ অংশ পদ ও পরিচয়হীন অবস্থায় আছে। প্রার্থীদের নির্বাচনমুখী ডামাডোলের বাইরে যেয়ে আমরা তাদের প্রাপ্য পদগুলো পাওয়ার জন্যে অধিকারের মিছিল করে যাচ্ছি।
ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ও উত্তরা পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তফা কামাল হৃদয় বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান যে পরিবর্তন এবং পরিচ্ছন্ন রাজনীতির কথা বলছেন, সেই পরিবর্তনকে ধারণ করে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের রাজনীতি পরিবর্তনের জন্যে, মানুষের জন্যে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রুয়েল বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতেই আমরা পরিবর্তনের রাজনীতির কথা বলছি। শুধু মুখেই বলছি না, আমরা সেটি মেনে সেইভাবে কাজও করে যাচ্ছি।
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রবিউল আওয়াল ভূঁইয়া রবি বলেন, আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। সৌহার্দ্য, পরিবর্তন ও শান্তির বাংলাদেশ। ইনশাআল্লাহ তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ভবিষ্যত বাংলাদেশে আমরা তা হতে দেখবো।
মিছিলটিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বড় বড় তিনটি ছবি ছড়া আর কারো কোনো ছবি বা ফেস্টুন ছিলো না। কোনো ব্যক্তির নামে কোনো স্লোগান হয়নি।
সৌহার্দ্য, পরিবর্তন ও শান্তির অঙ্গীকারে আলাদা আলাদা তিনটি ভ্যানে তিনটি প্লেকার্ড ছিলো। ব্যানারে লেখা ছিলো- চেঞ্জ ইউর সেলফ টু চেঞ্জ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এবং বিএনপির দলীয় সহস্রাধিক পতাকা হাতে নিয়ে মিছিলটিতে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: