হাসিনার আমলে স্কাইপ কেলেঙ্কারি ফাঁস করা সাংবাদিককে প্রার্থী করলো জামায়াত
দেশের বিচার বিভাগ নাড়িয়ে দেওয়া এক কেলেঙ্কারি ফাঁস করা দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক, মজলুম সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমানকে হবিগঞ্জ-৪ আসনে জামায়াতে ইসলামীর নতুন এমপি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা জামায়াতের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় তাকে দলের সংসদ সদস্য প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
এর আগে এ আসনের এমপি প্রার্থী ছিলেন দলটির জেলা আমির। জেলা জামায়াতের আমির কাজী মাওলানা মখলিছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের।
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় ওই রিপোর্টটি করার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হলে ওই বিচারপতি ট্রাইবুনাল থেকে পদত্যাগ করেন। পরে ব্রিটেনে চলে যান অলিউল্লাহ্ নোমান।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর হয়ে প্রার্থীতা ঘোষণা আসার পরন সোমবার রাতে দীর্ঘ একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে। শুভাকাঙ্ক্ষী, শুভানুধ্যায়ী সবার দোয়া এবং সহযোগিতা চাই। প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সহযোগিতা করবেন শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে এটা প্রত্যাশা করি।
তিনি লেখেন, আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমাকে হবিগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করেছে। জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবনে নতুন বাংলাদেশ গড়া এবং মাধবপুর-চুনারুঘাটের আধুনিকায়নই হবে আমার মূল লক্ষ্য।
প্রতিশ্রতি দিয়ে তিনি আরও লেখেন, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে হবে আমার লড়াই। ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাই হবে মূল লক্ষ্য। বৈষম্য বিরোধী সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমি নিজে থেকে শুরু করবো। আল্লাহ যদি কামিয়াব করেন, সংসদ সদস্যদের জন্য সাধারণ সাধারণ নাগরিকদের যে বৈষম্য আইন করে তৈরি করা হয়েছে, প্রথমেই সে গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাবো। এর অংশ হিসেবে আমি নিজে সাধারণ নাগরিকের সাথে বৈষম্যমূলক সুযোগ যেমন-
(১) বিনা শুল্কে গাড়ি (শুল্ক হচ্ছে রাষ্ট্রের পাওনা, মানে ২০ কোটি মানুষে হক্ব) নিব না। প্রয়োজনে আমি এখন যেভাবে সাধারণ চলাফেরা করি, রিক্সা, সিএনপি চালিত বেবি, অটো রিক্সা, এসবেই চলবো।
(২) সাধারণ নাগরিক যাদের অনেকেই ভূমিহীন। তাদের ভোটে সংসদ সদস্য হওয়ার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় জমি ঢাকায় বরাদ্দ দেওয়া হয়। আমি মনে করি এটা সাধারণ নাগরিক তথা ভূমিহীনদের সাথে মশকরা করা। তাদের ভোটে এমপি হয়। অথচ, তাদের কোন খবর নাই, এমপি সাহেব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জমি বরাদ্দ পান। আমি ওয়াদা করছি এরকম বৈষম্যমূলক জমি বরাদ্দ আমি চাইবো না।
(৩) সংসদ সদস্য হিসাবে এলাকার জন্য যত বরাদ্ধ থাকবে সব প্রকাশ করা হবে। এ গুলো একটি নোটিশবোর্ডে টাঙ্গিয়ে রাখা হবে। যাতে সবাই দেখতে পারেন বরাদ্দ কি এসেছে। এ গুলো সবাইকে নিয়ে যথাযথ ব্যবহারের জন্য স্থানীয় পরামর্শ নেওয়া হবে।’
বিভি/এজেড




মন্তব্য করুন: