• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

সাড়ে তিন ঘন্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক মির্জা ফখরুল-কর্নেল অলি’র

প্রকাশিত: ১৭:৩৫, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

আপডেট: ১৭:৪৯, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ফন্ট সাইজ
সাড়ে তিন ঘন্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক মির্জা ফখরুল-কর্নেল অলি’র

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহত্তর ঐক্যগঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির সংগে বৈঠক করেছে বিএনপি। প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টার ওই বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি এবং সরকার বিরোধী ডান-বাম দলগুলোকে এক করে আন্দোলন যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত রোববার রাত সাড়ে সাতটার দিকে কর্নেল অলি আহমদের মহাখালির ডিওএইচএসের বাসায় যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান। এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত অলি আহমদ ছাড়াও মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে রাত ১১টার দিকে বের হয়ে যান বিএনপি নেতারা।

এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ বাংলাভিশন ডিজিটালকে বলেন, বিএনপ ‘র সিনিয়র নেতারা এসেছেন আগামীতে বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে। আমরা তাঁদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছি। বেগম খালেদা জিয়াসহ দেশের সকল রাজনীতিকের মুক্তি, সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনমত গঠন নিয়ে রাজপথে আন্দোলনের বিষয়ে একমত হয়েছি।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, বাম দলগুলো অর্থাৎ সরকারের বিরুদ্ধে যারা সোচ্চার তাঁদের এই আন্দোলনে শামিল করার বিষয়ে কাজ করছেন তারা। এইক্ষেত্রে এলডিপি বলেছেন, ২০ দলীয় জোট থেকে যারা বেরিয়ে গেছেন তাদের আবারো সমৃক্ত করতে। এক্ষত্রে বিএনপি নেতারা বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জামায়াত ইসলামীর বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এলডিপি মহাসচিব বলেন, হ্যাঁ আলোচনা হয়েছে। তবে কি আলোচনা হয়েছে তা ক্লিয়ার করেননি। তিনি বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে এলডিপির আগে থেকেই জামায়াত ছিলো। এখন তাদের নিবন্ধন নেই। তাদের আছে বৃহৎ কর্মীবাহিনী। যারা আগামীর আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

সূত্র জানায়, বৈঠকে এলডিপির আরেক অংশকে ২০ দলীয় জোটে স্বীকৃতি না দেওয়ার বিষয়ে জোড় দেন অলি আহমদ। জবাবে বিএনপি নেতারা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে আলোচনায় বিএনপি নেতাদের সংগে দ্বিমত পোষন করেন এলডিপি নেতারা। তারা জানান,  এর চেয়ে এখনই জাতীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলন করা উচিত। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার বাস্তবায়ন দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার।

২০১৮ এর নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের শরীকদের একপাশে রেখে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে বিএনপি। এই নিয়ে শরীকদের মধ্যে মনস্তাত্বিক সমস্যা প্রকাশ্যে আসে। একই সমেয় এলডিপির প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বেজাতীয় মুক্তিমঞ্চনামের বিকল্প জোটও গঠন করেন। এ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে অলির দূরত্বের সৃষ্টি হয়। পরে এলডিপির একটি অংশ বেরিয়ে গেলেও দুই অংশই ২০ দলীয় জোটে থেকে যায়। সে সময় এলডিপির ভাঙন নিয়ে বিএনপির ওপর আরো ক্ষুব্ধ হন অলি আহমদ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার উদ্যোগ শুরু করেছে বিএনপি। ইতোমধ্যে অন্তত ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেছেন দলটির নেতারা। আগামী শুক্রবারের মধ্যে আরও বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা

বিভি/এনএম

মন্তব্য করুন: