• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

দোতলা বাড়ির মালিক মহিলা লীগের সভানেত্রীও পেয়েছেন টিসিবির কার্ড

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ৩০ মার্চ ২০২২

আপডেট: ১৩:৫৭, ৩০ মার্চ ২০২২

ফন্ট সাইজ
দোতলা বাড়ির মালিক মহিলা লীগের সভানেত্রীও পেয়েছেন টিসিবির কার্ড

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা টিসিবির কার্ড পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমার ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের মহিলা লীগের সভানেত্রীকে টিসিবির কার্ড দেওয়া হয়েছে। অথচ তাঁর রয়েছে দোতলা বাড়ি। তাঁর পাশেই একজন দুস্থ্য মানুষ আছে। যার একটি টিনের চালাও নাই। তাঁকে কার্ড দেয়া হয় নাই।

বুধবার (৩০ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীকে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার ১৭ মাস পর গত ২২ মার্চ জামিনে মুক্ত হন রুহুল আমিন গাজী। ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেপ্তার করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের ওই দুটি মামলায় বিচার চলছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, খুব জোড় দিয়ে বলা হচ্ছে, এক কোটি কার্ড দেয়া হয়েছে। এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে একদিকে টিসিবির ট্রাকের পেছনে লাইন মানুষ দিচ্ছে, কারণ নিত্যপণ্যের দাম এতো বৃদ্ধি পেয়েছে-তাঁদের কেনার সামর্থ নেই। সেই সময়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভারত থেকে বিখ্যাত গায়ক এনে কনসার্ট করাচ্ছে। ব্যুরোক্রেসরা ঢাকা-টরেন্টো ফ্লাইটে যাচ্ছে। সেখানে অর্ধেকের বেশি সরকারি কর্মকর্তারা তাঁদের পরিবারসহ। কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করেন, একজন আরেকজনের বিষয়ে শালীনতার সংগে কথা বলা সেটা আজকে চলে গেছে। কোনো সৌজন্যতা চলে গেছে। যাবেনা কেন? যারা চাকর তাঁরা যদি মালিক বনে যায়, তখন সে অবস্থাই দাঁড়াবে। এমন এমন লোক এমন কথা বলছে, তারা কিন্তু জীবন চলে জনগণের টাকায়। বেতন হয় জনগণের টাকায়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, যাগে গড মনে করা হচ্ছে তাকে নিয়ে কথা বলা বড় অপরাধ। তাকে নিয়ে বললেতো জেলে যেতেই হবে। আমি রাজনীতি করি আমি জেলে যাবো এটা স্বাভাবিক। কিন্তু গাজী ভাইয়ের জেলে যাওয়া স্বাভাবিক নয়। সংগ্রামের সম্পাদক বয়োবৃদ্ধ আবুল আসাদকে জেলে নেয়া হয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে আটশ মানুষকে জেলে নেয়া হয়েছে। নতুন আইন করেছে, গণমাধ্যমকর্মী আইন। কারা করছে, যারা বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। আরেকটা হচ্ছে, উপাত্ত সংরক্ষণ আইন। ৩৪ পৃষ্ঠার একটি খসড়া দিয়েছে। সামগ্রীকভাবে পুরোপুরি কর্তৃত্ববাদী কায়েম করছে। এখানে বললে শিরচ্ছেদও হতে পারে।

সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের ইস্পাত দৃঢ় ঐক্য করতে হবে। আমরা বাংলাদেশকে মুক্ত করবো। আমরা সাংবাদিকদের লেখার স্বাধীনতা। সব ধরণের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবো। এটা আমাদের করতে হবে। বিচার বিভাগকেও বাধ্য করতে হবে ন্যায় বিচার করতে।

বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে বলেন, তিন বছর ধরে তিনি কারাগারে। তাঁকে জামিন দেওয়ার জন্য কতবার উঠেছে। সুপ্রীমকোর্টে উঠেছে। কিন্তু তাঁকে জামিন দেওয়া হয় নাই। তাঁকে জামিন না দেওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না। 

মন্তব্য করুন: