• NEWS PORTAL

  • শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

নিউ মার্কেট সংঘর্ষ

মঙ্গলবার সারাদেশে বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:২৬, ২৩ এপ্রিল ২০২২

আপডেট: ১৩:৪৬, ২৩ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
মঙ্গলবার সারাদেশে বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি

মকবুল হোসেন সরদার

নিউ মার্কেটে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মকবুল হোসেন সরদারকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আগামী ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার দেশের সব মহানগরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। 
শনিবার (২৩ এপ্রিল)  গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঘোষণা দেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নিউমার্কেটের সংঘর্ষ, পুলিশের ভূমিকা এবং পরবর্তীতে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও মামলা দায়েরের ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হল, আওয়ামী লীগ সরকার ভয় দেখিয়ে, নির্যাতন করে, হত্যা করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চায়।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে যে সত্যটি উদঘটিত হয়েছে যে, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী। ভিডিও ফুটেজ থেকে অন্তত তিন জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে যারা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। গণমাধ্যমের রিপোর্ট এটা স্পষ্ট যে প্রধানত চাঁদাবাজির কারণে এবং নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের ভয়াবহ সন্ত্রাসীরা এই ঘটনার জন্য দায়ী।’ 

তিনি বলেন, ‘শুধু এই ঘটনাই নয় নিউমার্কেটসহ পাশ্ববর্তী এলাকাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই শাসক গোষ্ঠীর ছাত্র-ছায়ায় ব্যাপক চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সংঘটিত হচ্ছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ পুলিশের সহায়তায় অপরাধ জগত গড়ে তুলছে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার পূর্বের মতই মামলার বেড়াজালে বিএনপির নেতাকর্মীদের বন্দি করার চক্রান্ত করছে। মামলা, গ্রেপ্তার, গুম, খুন, হত্যা এই সরকারের প্রধান অস্ত্র যা দিয়ে বিএনপিকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে। বর্তমান অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকার গত এক যুগ যাবত অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য রাষ্ট্রের সকল যন্ত্রকে ব্যবহার করে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে মকবুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাতে তাকে নিউমার্কেট থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

গত ১৮ এপ্রিল দিনগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ, যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হন। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের একজন ডেলিভারিম্যান, অন্যজন দোকান কর্মচারী।

সংঘর্ষের সূত্রপাত নিউমার্কেটের ভেতরে থাকা ওয়েলকাম ও ক্যাপিটাল ফাস্টফুড নামের দুই দোকান কর্মচারীর দ্বন্দ্ব থেকে। সেই দোকান দুটি সিটি করপোরেশন থেকে মকবুলের নামে বরাদ্দ রয়েছে। তবে কোনো দোকানই নিজে চালাতেন না মকবুল। রফিকুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম নামে দুজনকে ভাড়া দিয়েছেন দোকান দুটি। রফিকুল ও শহিদুল আবার পরস্পর আত্মীয়।

সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে। একটি মামলা বিস্ফোরক আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা হয়। দুই মামলাতে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১২০০ জনকে আসামি করা হয়।

এছাড়া সংঘর্ষে নিহত নাহিদের বাবা মো. নাদিম হোসেন ও মুরসালিনের ভাই নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলা করেন। এই চার মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে প্রায় এক হাজার ৪০০ জনকে। তবে তিনটি মামলার মধ্যে শুধু পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি নেতা মকবুলসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলার বাদী নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক ইয়ামিন কবীর।

মকবুল হোসেন ছাড়াও এ মামলায় আরও যাদের নাম রয়েছে, তারা হলেন- আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু, হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহিদুল ইসলাম শহিদ, জাপানি ফারুক, মিজান বেপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, তোহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল।
 

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন:

Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2