• NEWS PORTAL

  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স আসছে এটা বিস্ময়কর ব্যাপার: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ২৯ মে ২০২৩

ফন্ট সাইজ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স আসছে এটা বিস্ময়কর ব্যাপার: ফখরুল

যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স আসছে এটা বিস্ময়কর ব্যাপার বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (২৯ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবার সংগ্রাম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বেগম খালেদা জিয়া কারারুদ্ধ, বিএনপির ৪০ লাখ নেতাকর্মী মামলার আসামি। সরকার ভিন্ন আঙ্গিকে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নতুন ভিসনীতির কারণে সরকারের লাফালাফি এবার কমে এসেছে, সুর নিচে নেমে গেছে। সরকার এখন বলছে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায়, নেতাকর্মীদের বাঁধা দিবে না, সংঘাত চায় না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, পরিষ্কার কথা বিএনপি লড়াই করছে। আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বিএনপি দশ দফা দাবি দিয়েছি, সরকাকে পদত্যাগ করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পরিবর্তন চায়, মানুষ যেনো ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সেটা চায়।’ 

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স আসছে এটা বিস্ময়কর ব্যাপার। দুর্নীতির টাকা এখন ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। যেকোনো মূল্যে প্রয়োজনে জীবনের বিনিময়ে হলেও ক্ষমতাসীনদের সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার চেষ্টা করবে আমাদের ফাঁদে ফেলার, সেজন্য অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। সংবিধান সম্মত আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন,
চলমান সংকট থেকে উত্তরণে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কোনো স্বৈরাচারী সরকার সহজে ক্ষমতা ছাড়ে না। ক্ষমতাসীনদের সরাতে সকলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশের সাধারণ মানুষের নয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উন্নয়ন ঘটেছে। জনগণকে সাথে নিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। 
সরকারকে ক্ষমতায় রেখে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এজন্য সরকারকে বিদায় করতে হবে, নেতাকর্মীরা প্রস্তুত।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ভিসা নীতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র কঠিন বার্তা দিয়েছে সরকারকে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে নির্বাচনের আগে ভিসানীতি আরোপ করা হয়েছে। বিএনপি এই দাবিগুলো আদায় করতেই দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে।

ভিসানীতির পর চাপে পড়ে এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে বিএনপিকে নির্বাচনের টানার পাঁয়তারা করছে সরকার। তবে সরকারের নতুন চক্রান্ত সফল হবে না। অতীতের মতো কারচুপির নির্বাচন এবার হতে দেয়া হবে না। সরকারের পদত্যাগের পর নির্দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন আদায় করা হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, সরকার গ্রেফতার করে বিরোধীদলের আন্দোলন দমিয়ে রাখার পথে হাঁটছে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করতে হবে। নেতাকর্মীদের কঠিন আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আন্দোলনেই সরকার পতন নিশ্চিত করতে হবে।

বিভি/ এইচএস

মন্তব্য করুন: