দুয়ারে কড়া নাড়ছে নির্বাচন: শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা
দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ভোটের বাকি আর কয়েকদিন। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ক্ষণ গণনা। দেশজুড়ে তাইতো ভোটের আমেজ। পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার এক মহা উৎসবে মজতে যাচ্ছে দেশ। ভোটাররা ভোট দিতে প্রস্তুত আছেন। পুরাতন ভোটারদের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছেন নতুন ভোটার। তাদের বড় অংশই বয়সে তরুণ এবং প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচন নিয়ে চট্টগ্রামের পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছেন তারানা তানজিনা মিতু।
জাতীয় নির্বাচনে প্রথম ভোট দেব, এটি একটি নতুন অভিজ্ঞতা হবে। আমি আমার ভোটে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করব। যাতে আমার এলাকায় উন্নয়ন হয়। আমার প্রত্যাশা, জাতীয় নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। দেশের সকল নাগরিক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে, এবং তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে। আমাদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব হবে যোগ্য, দক্ষ, সৎ ও ন্যায়পরায়ণ। রাষ্ট্র হোক দুর্নীতিমুক্ত। আর অব্যাহত থাকুক দেশের সার্বিক উন্নয়নের ধারা।
ফাহমিদা কাদের নওরিন,
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, র্পোট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
ভোটাধিকার প্রয়োগ করা একটি সাংবিধানিক অধিকার। যারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। আমি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় দেখতে চাই। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির জয় নিশ্চিত করবে তরুণ ভোটাররা এটাই চাওয়া। আর ভালোবাসা দিয়ে জনগণের মন জয় করতে বলব সকল প্রার্থীকে। আমার প্রত্যাশা তরুণরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করবে।
শাহ আব্দুল্লাহ আল রাহাত,
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
জাতীয় নির্বাচনে এবার প্রথমবার ভোট দেওয়ার সৌভাগ্য হবে, তাই আমি খুবই আনন্দিত। অবকাঠামোর অনেক উন্নয়ন হয়েছে দেশে। কিন্তু এমন একটা সরকার আমি চাই, যে সরকার মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো পূরণ করতে পারে। ভোট পাওয়ার জন্য অনেক প্রার্থী অনেক কিছু বলে, পরে আর সেগুলা রাখে না। আমি চাই এমন কেউ আসুক যে, শুধু প্রতিজ্ঞার সীমাবদ্ধ থাকবে না, সেটা পূরণও করবে। প্রত্যাশা করি, এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।
তারানা তাসমিনা মিশু,
ফ্যাশন ডিজাইন এন্ড টেকনোলজি, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যারর তিন ভাগের এক ভাগ তরুণ। বাংলাদেশের সব বড় অর্জনের পেছনে তরুণদের ভূমিকাই প্রধান। আমি মনে করি, আসন্ন নির্বাচনে তরুণ ভোটাররা অনিবার্য নির্ধারণী ভূমিকা পালন করবে। আমাদের যে সমস্যাগুলো রয়েছে, আমি অবশ্যই এমন একজন জনপ্রতিনিধি চাইবো যে, আমাদের হয়ে কাজ করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা একজন স্মার্ট জনপ্রতিনিধি চাই।
শাহাদাত হোসেন,
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
লেখক : শিক্ষার্থী, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
(বাংলাভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, বাংলাভিশন কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার বাংলাভিশন নিবে না।)
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: