• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

সূর্যগ্রহণ উৎসবের নয় ভয়ের, এ সময় যা করতেন রাসূল (সা.)

প্রকাশিত: ১৫:৫৪, ৮ এপ্রিল ২০২৪

ফন্ট সাইজ
সূর্যগ্রহণ উৎসবের নয় ভয়ের, এ সময় যা করতেন রাসূল (সা.)

বিরল এক পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে যাচ্ছে বিশ্ব। সোমবার (৮ এপ্রিল) সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যকার কক্ষপথে চাঁদের আগমনে চাঁদের ছায়ায় পৃথিবীর একটা অংশ সম্পূর্ণ ঢেকে তৈরি হবে এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। এর ফলে পৃথিবীর ওই অংশে দিনের বেলায় নেমে আসতে পারে রাতের মতো অন্ধকার। যা গত ৫০ বছরেও হয়নি।  

তাই এ সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য অনেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে। কেউ কেউ বিশেষ গ্লাস কিনে রাখছে। সূর্যগ্রহণ দেখতে পর্যটকদের ভিড়। আকাশচুম্বী হয়েছে হোটেল ভাড়া।  

অধিকাংশ সময়ই মানুষেরা অত্যন্ত আনন্দ আর কৌতুহল নিয়ে সূর্যগ্রহন এবং চন্দ্রগ্রহণ প্রত্যক্ষ করে থাকে। অথচ বিষয়টি আনন্দের নয়, বরং ভয় ও ক্ষমাপ্রার্থনার। 

হাদিসে বর্ণিত আছে, সূর্য ও চন্দ্র যখন গ্রহণের সময় হয় তখন আমাদের নবীর (সা.) চেহারা ভয়ে বিবর্ণ হয়ে যেতো। তখন তিনি সাহাবিদের নিয়ে জামায়াতে নামাজ পড়তেন। কান্নাকাটি করতেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।

আরবিতে সূর্যগ্রহণকে ‘কুসূফ’ বলা হয়। আর সূর্যগ্রহণের নামাজকে ‘নামাজে কুসূফ’ বলা হয়। দশম হিজরীতে যখন পবিত্র মদিনায় সূর্যগ্রহণ হয়, রাসূল (সা.) ঘোষণা দিয়ে লোকদের নামাজের জন্য সমবেত করেছিলেন। তারপর সম্ভবত তার জীবনের সর্বাধিক দীর্ঘ নামাজের জামায়াতের ইমামতি করেছিলেন। সেই নামাজের কিয়াম, রুকু, সিজদাহ মোটকথা, প্রত্যেকটি রুকন সাধারণ অভ্যাসের চেয়ে অনেক দীর্ঘ ছিলো।

প্রায় ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে এমনই একটি পাথর আঘাত হেনেছিলো। এতে ডাইনোসরসহ পৃথিবীর তাবৎ উদ্ভিদ, লতা, গুল্ম সব ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। আপনজনের (Arizon) এ যে উল্কাপিন্ড এসে পড়েছিলো তার কারণে পৃথিবীতে যে গর্ত হয়েছিলো তার গভীরতা ৬০০ ফুট এবং প্রস্থ ৩৮০০ ফুট।
 
বিজ্ঞানীরা বলেন, সূর্য অথবা চন্দ্রগ্রহণের সময় ঝুলন্ত পাথরগুলো পৃথিবীতে ছুটে এসে আঘাত হানার আশঙ্কা বেশি থাকে। কারণ হচ্ছে, এসময় সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী একই সমান্তরালে, একই অক্ষ বরাবর থাকে। ফলে তিনটির মধ্যাকর্ষণ শক্তি একত্রিত হয়ে ত্রিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। 

এমনি মুহূর্তে যদি কোনো পাথর বেল্ট থেকে নিক্ষিপ্ত হয় তখন এই ত্রিশক্তির আকর্ষণের ফলে সেই পাথর প্রচণ্ড শক্তিতে, প্রবল বেগে পৃথিবীর দিকে আসবে, এ প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে আসা পাথরটিকে প্রতিহত করা তখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। 

ফলে পৃথিবীর একমাত্র পরিণতি হবে ধ্বংস। একজন বিবেকবান মানুষ যদি মহাশূন্যের এ তত্ত্ব জানে, তাহলে তার শঙ্কিত হবারই কথা।

এই দৃষ্টিকোণ থেকে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণের সময় মহানবীর (সা.) সেজদারত হওয়া এবং সৃষ্টিকূলের জন্য পানাহ চাওয়ার মধ্যে আমরা একটি নিখুঁত বাস্তবতার সম্পর্ক খুঁজে পাই। মহানবীর (সা.) এ আমলটি ছিলো যুক্তিসঙ্গত ও একান্ত বিজ্ঞানসম্মত। তাই এটিকে উৎসব না বানিয়ে আল্লাহকে ভয় করুন। সালাত আদায় করুন।
 

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: